প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে শহীদ হন তিনি।
এ দিবসে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংহঠনসহ সকল নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলী ও শোকবার্তা দিয়েছেন।
এক শোকবার্তায় তূণমূল নেতাকর্মীর আস্থার প্রতীক তথা চাঁদপুর বিএনপির প্রাণ পুরুষ কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল সকল জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী এবং আপামর জনগণকে আগামি দিনের গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনে রাজপথে থাকার দূঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
বার্তায় ইব্রাহীম জুয়েল বলেন, ‘সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের উত্তরণ ও জনগণের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে আজ ৩৬ বছর ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া।
স্বাধীনতার ঘোষক, জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও উন্নয়নের রাজনীতির রূপকার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর ষড়যন্ত্রকারীরা জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণের কেড়ে নেওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে শহীদ জিয়ার জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের রাজনীতির পতাকাকে উড্ডীন করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন।
জনতার নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জনগণের ভোটের অধিকারের প্রশ্নে লড়াই অব্যাহত রেখেছেন। গণতন্ত্রের মুক্তি আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে রাজনৈতিক সংগ্রামে শামিল হতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ।
জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। এর পর ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল বাংলাদেশের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী থানার বাগবাড়িতে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মনসুর রহমান কলকাতায় একজন কেমিস্ট হিসেবে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন।
শৈশব ও কৈশোরের একটি সময় গ্রামে কাটিয়ে তিনি বাবার সঙ্গে কলকাতায় এবং দেশ বিভাগের পর করাচিতে চলে যান। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ভর্তি হন। ১৯৫৫ সালে তিনি কমিশন লাভ করেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে খেমকারান সেক্টরে সাহসিকতার সঙ্গে একটি কোম্পানির অধিনায়ক হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করেন।
করেসপন্ডেন্ট