সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট তথা টেকসই উন্নয়নের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যকর নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা.. সেখানে এক সময় আমি নিজেও খুব উৎসাহিত করতাম। কিন্তু পরবর্তীতে লক্ষ্য করলাম যে ঋণের পরিমাণ এত বেড়ে যায় যে শেষে মানুষ ঋণগ্রস্ত হয়ে হয় আত্মহত্যা করে, না হয় এলাকা ছেড়ে ভাগে, না হয় ছেলে মেয়ে বিক্রি করে, বাড়িঘর বিক্রি করে। নিঃস্ব হয়ে যায়। সে আর নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না।’
২৬ জানুয়ারি রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একগুচ্ছ উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের অপর প্রান্তে থাকা বিভিন্ন জেলার মানুষের কথাও শোনেন।
এদিকে সারা দেশে পুরনো রেল সেতুগুলো মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পানি শোধনাগার উদ্বোধন প্রসঙ্গে অনেক অর্থ খরচ করে পানি শোধন করে সেই পানি সরবরাহ করা হয় জানিয়ে দেশবাসীকে পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এই পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে হবে। পানির অপচয় বন্ধ করতে হবে।’
অতীতে সামরিক শাসনের সময় উন্নয়নের দিক থেকে গ্রামের মানুষ বা সাধারণ মানুষ সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত ছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিলিটারি ডিক্টেটররা যখন ক্ষমতায় আসে সংবিধান লঙ্ঘন করে, অবৈধভাবে… তখন তারা একটা এলিট শ্রেণি তৈরি করে বা কিছু লোককে তারা অর্থ সম্পদের মালিক করে। তাদেরকে দিয়ে তারা ক্ষমতার ভিত্তিটা শক্ত করতে চায়। বঞ্চিত থেকে যায় অবহেলিত জনগোষ্ঠী।’
এ সময় পুরনো রেলব্রিজগুলোকে সংস্কারের তাগিদ দিয়ে বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে একটা সার্ভে করে যেখানে যত পুরনো জরাজীর্ণ রেল ব্রিজ আছে, সেগুলো সব মেরামত করতে হবে। সেজন্য একটা প্রজেক্ট আলাদাভাবে আমি মনে করি তৈরি করে আনবে। তাহলে আমরা সেটা করে দিতে পারি এবং দ্রুত কাজগুলো করতে পারি।’
অতীতের সরকারগুলো রেল যোগাযোগকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রেলওয়েকে আমরা এখন সম্প্রসারণ করে যাচ্ছি।’
ঢাকা ব্যুরা চীফ, ২৬ জানুয়ারি ২০২০