ক্ষুদে ‘সোহান’ যাচ্ছে বিকেএসপিতে, স্বপ্ন এখন জাতীয় ফুটবলে
চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ৬ বছরের ফুটবল প্রতিভা ‘মেসি খ্যাত’ সোহানের জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)-তে ভর্তির লক্ষ্যে ঢাকায় রওনা দেবে সে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মাহমুদা কুলসুম মনি।
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় দেশজুড়ে আলোচনায় আসে ক্ষুদে ফুটবলার সোহান। মাঠে তার ক্ষিপ্রতা, বল নিয়ন্ত্রণ ও অসাধারণ ফুটবল সেন্স সবার নজর কাড়ে। তার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া তাকে বিকেএসপির স্কলারশিপ দেওয়ার ঘোষণা দেন এবং ঢাকায় তাকে ডেকে ফুটবল উপহারও দেন। এর আগেই ভাইরাল ভিডিওটি দেখে সোহানের সার্বিক সহযোগিতার দায়িত্ব নেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গ্রামের সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা সোহান এখন দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়া প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চলেছে। ইউনিয়ন, উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, এবং দেশের মানুষের ভালোবাসা সব মিলিয়ে ছয় বছর বয়সী ফুটবল প্রতিভার সামনে খুলে যাচ্ছে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দরজা।
সবাই আশা করছেন, একদিন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেশের পতাকা উঁচু করে ধরবে মতলবের এই ক্ষুদে সোহান। নিজেও সে একই স্বপ্ন বুকে ধারণ করে। ফুটবলের প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করে সোহান বলেছে, “আমি বড় হয়ে মেসির মতো খেলোয়াড় হতে চাই। দেশের হয়ে খেলবো, গোল করবো।
সোহানের বাবা মো. সোহেল আবেগ নিয়ে বলেন, আমার ছেলে ছোট থেকেই ফুটবল ভালোবাসে। মানুষের ভালোবাসা আর নেতাদের সহযোগিতা তাকে আজ বিকেএসপির দরজায় নিয়ে এসেছে। কাল ঢাকায় যাচ্ছি ভর্তি কাজের জন্য। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, সে যেন দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে। তিনি সোহানের পাশে দাঁড়ানো সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মতলব উত্তর স্পোর্টস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. শামিম খান বলেন, সোহান আমাদের এলাকার একটি রত্ন। তার খেলায় যে প্রতিভা দেখা যায়, তা ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। বিকেএসপিতে সঠিক প্রশিক্ষণ পেলে জাতীয় দলে খেলা শুধু সময়ের ব্যাপার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা কুলসুম মনি মনে করেন, সোহান মতলব উত্তর উপজেলার এক বিরল প্রতিভা। তিনি বলেন, এমন প্রতিভা খুব কম বয়সেই পাওয়া যায়। বিকেএসপিতে সুযোগ পাওয়া তার পরিবার এবং আমাদের উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার জন্য বড় অর্জন। আমরা সবসময় তার পাশে থাকব এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা নিশ্চিত করব।
নিজস্ব প্রতিবেদক/
৪ ডিসেম্বর ২০২৫