মতলব দক্ষিণ

ক্ষত বিক্ষত মতলব-কচুয়ার রাস্তা এখন মরণ ফাঁদ

চাঁদপুর জেলার মতলব-কচুয়ার রাস্তাটি যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ৪ বছর ধরে রাস্তাটির এ করুণ অবস্থায় যানবাহনসহ হাজার হাজার জনগণ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

রোগী নিয়ে মতলব আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে কচুয়া, হাজীগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ডায়েরিয়া রোগী আসা বা অন্য কোথাও চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাবে এমন কোন পরিবেশ রাস্তায় নেই। বরং রাস্তা দিয়ে রোগী নিয়ে রওয়ানা হলে রোগীকে জীবিত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে।

বাস,সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, মাইক্রোবাস, মালবাহী ট্রাক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে প্রায়ই দূর্ঘটনার শিকার হয়।

গাড়ির এক্সেলসহ নানান যন্ত্রাংশ ভেংগে রাস্তার ওপর ঘন্টার পর ঘন্টা পড়ে থাকতে দেখা যায়।

যেমন মতলব দক্ষিণ উপজেলার দগরপুর, নওগাও, ডুলিয়া পাড়া, দেলদিয়া, চড়পয়ালি, পয়ালি, চাপাতিয়া, জোড়পুল, কাশিমপুর এবং কচুয়ার চৌমুহনী বাজার, দোগর মোড়, গুলবাহার, বাতাবাড়িয়া হয়ে কচুয়া বাজার পর্যস্ত। রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের

প্রতিবেদককে ছবি তুলতে দেখে এক চালক বলেন, ‘সাংবাদিক ভাই রাস্তার জন্য কিছু একটা লিখেন, আমরা আর পারছিনা, শুধু পেটের দায়ে গাড়ি চালাই। মনটা চায় গাড়ি বিক্রি করে দেই।’

চালকদের মন্তব্য, ‘সারাদিন কষ্ট করে গাড়ি চালাই আর যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়। দিনের শেষ হিসাব মিলিয়ে দেখি দৈনিক পকেট থেকে ২ থেকে ৩শ টাকা ঘাটতি হয়।’

ভুক্তভোগী দেলদিয়া গ্রামের আবুল কাশিম মিয়া জানান, ‘আমরা রাস্তার বেহাল দশার কারনে রোগীদের কোথাও চিকিৎসা নিতে পারিনা। ঘরে রেখেই তাদের মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তারপরও মানুষ বিশেষ প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হয়।’

এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী মো. শাহ আলম জানান ‘এ সড়কটির জন্য গত বছর আমাদের উপজেলা এলজিইডি থেকে ১কোটি ১৪ লাখ টাকা টেন্ডার হয়ে ছিল কিন্তু জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগ বলছে এ সড়কটি ওনাদের আওতায় শীঘ্রই কাজ ধরা হবে।’

মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার বলেন ‘এ সড়কটি দিয়ে আমার বাড়িতে যেতে খারাপ লাগে। আমি এই সড়কটির ব্যাপারে মন্ত্রী মহোদয়কে জানিয়েছি খুব শীঘ্রই জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগ কাজ করবে।’

সড়কটি যথাযথ তদারকির মাধ্যমে সিডিউল মোতাবেক সংস্কার করার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি মহোদয়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

সাইফুল ইসলাম রণি : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৩:০০ এএম, ৩১ জুলাই ২০১৬, রোববার
ডিএইচ

Share