সারাদেশ

কো-পাইলট প্রিথুলা রশিদ এখন ‘ডটার অব বাংলাদেশ’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ‍্যমে আলোচনার প্রধান বিষয় নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা। স্ট‍্যাটাসে স্ট‍্যাটাসে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা, নানা মত-আলোচনা হচ্ছে।

তবে সোমবার নেপালের একটি ফেইসবুক পেইজ ‘সিকিম ম্যাসেঞ্জার’ থেকে একটি পোস্ট দিলে আলোচনা একটু একটু করে মোড় নিতে থাকে বিমানটির কো-পাইলট প্রিথুলা রশিদের দিকে।

সেই পোস্টে এই নারী পাইলটকে নেপালের সেই কর্তৃপক্ষ ‘ডটার অব বাংলাদেশ’ খেতাব দিয়েছে। তারপর থেকেই তার বীরত্মের গল্প উঠে আসতে শুরু করে এই বাংলাদেশীর। হ্যাশট‍্যাগ দিয়ে ফেইসবুকে তাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

দুর্ঘটনা কবলিত ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস২১১ বিমানের কো-পাইলটের দায়িত্ব পালন করছিলেন প্রিথুলা রশিদ। সোমবার কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। নিজে মারা গেলেও বিমানের থাকা অন্তত ১০ যাত্রীকে বাঁচিয়েছেন তিনি।

সাহসী এই কাজের জন্য নেপাল ভিত্তিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই বীর নারীকে ‘ডটার অব বাংলাদেশ’ আখ্যা দিয়েছে। শুধু গণমাধ‍্যমে নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ‍্যমেও তাকে ‘#Daughter_of_bangladesh’ হ্যাশট‍্যাগ দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন অনেকেই।

হাসান রশিদ ফেইসবুকে লিখেছেন, আমি শোকাহত এবং গর্বিত প্রিথুলা রশিদকে নিয়ে। যদিও আপনি নেই, তবে বাঁচিয়েছেন ১০ জনের প্রাণ। যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন। নীলুফার মাহমুদ তানি ফেইসবুকে লিখেছেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ইউএস-বাংলার #BS211 ফ্লাইটের কো-পাইলট প্রিথুলা রশিদ নিহত হয়েছেন।

নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। রাহাত জামান লিখেছেন, আসলেই তিনি #Daughter_of_bangladesh। নিজের মৃত‍্যুর কথা জেনেও বাঁচিয়েছেন ১০ দশকে। এদিকে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। তবে বিমানটির পাইলট, কো-পাইলটসহ কেবিন ক্রু সবাই নিহত হয়েছেন।

-এমটিনিউজ

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ৩০ এ.এম ১৪ মার্চ,২০১৮বুধবার
এএস.

Share