chandpur times desk:
আফগানিস্তানের হস্তলিপিকার মোহাম্মদ সাব্বির খেদরি ৫০০ কেজি ওজনের একটি কোরআন তৈরি করেছেন- যা বর্তমানে পৃথিবীর বৃহত্তম কোরআন শরীফ। কোরআনে কারিমের বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ কপির কাজ সমাপ্ত করতে খেদরির সময় লেগেছে প্রায় ৫ বছর।
ইতিমধ্যে ক্যালিওগ্রাফার খেদরির করা এই অসাধারণ, নজরকাড়া, অনিন্দ্য সুন্দর ও সুসজ্জিত এই কোরআনটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কোরআন বলে স্বীকৃতি পেয়েছে।
সৃষ্টিশীল এই কাজে খেদরিকে সহযোগিতা করেছেন আরো ৯ জন শিল্পি। কোরআনটি রাখা হয়েছে বিশেষভাবে তৈরি একটি কক্ষে। যা কাবুলের কালচারাল সেন্টারে অবস্থিত।
এ প্রসঙ্গে খেদরি বলেন, ‘আমি যথাসম্ভব চেয়েছি আকর্ষণীয় রঙের লেখায় পবিত্র এই কোরআনের কপিটিকে সাজিয়ে সুন্দর করে তুলতে।’
খেদরির এই বৃহৎ কোরআন ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত একটি এটলাস কেও ছোট করে দিয়েছে। যার পরিমাপ দৈর্ঘ্যে ১.৭৮ মিটার আর প্রস্থে ১.০৫ মিটার। যদিও এটি বিশ্বের দীর্ঘতম বই হিসেবে নাম করতে পারেনি। বিশ্বের দীর্ঘতম বইটি বার্মায় রয়েছে।
১০০০ পাউন্ড ওজনের এই কোরআন শরিফটির দৈর্ঘ্য ৭ দশমিক ৫ ফুট ও প্রস্থ ৫ দশমিক ১০ ফুট। পৃষ্ঠা সংখ্যা ২১৮টি। আফগান সরকারের হজ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তৈরি হওয়া এই কোরআন শরিফের প্রচ্ছদে ব্যবহার করা হয়েছে ২১টি গবাদিপশুর চামড়া। দামি চামড়ার তৈরি প্রতিটি পৃষ্ঠায় অপরূপ সোনালি ক্যালিওগ্রাফিতে লেখা হয়েছে আয়াতসমূহ।
এই কোরআন শরিফ তৈরি করতে আফগানিস্তানের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ব্যয় করতে হয়েছে তিন লাখ পাউন্ড। ২০০৯ সালে শুরু করে ২০১২ সালের প্রথমদিকে কাজ শেষ হয়।
আফগানিস্তানের আগে পৃথিবীর বৃহত্তম কোরআন শরিফ তৈরি হয়েছিল রাশিয়ার তাতারস্তানে। ৮০০ কেজি ওজনের ৬৩২ পৃষ্ঠা সংবলিত সেই কোরআন শরিফের দৈর্ঘ্য ছিল সাড়ে ৬ ফুটের একটু বেশি এবং প্রস্থ ছিল সাড়ে ৩ ফুট। প্রচ্ছদ তৈরি হয়েছিল সোনা ও মূল্যবান পাথরের গাঁথুনিতে। তাতারস্তানের সেই কোরআন শরিফটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল পুরো একটি বছর।