নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে শিশু-কিশোরদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তোমরাই তো একদিন দেশ পরিচালনা করবে। আমাদের মতো মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী হবে।’
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় শিশু-কিশোর সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে আমরা এগিয়ে যাব। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। আর ২০৪০ সালের মধ্যে আমরা হব উন্নত দেশ। স্বাধীনতার ৪৫ বছরে পা দিয়েছি আমরা। কোনোদিক থেকে পিছিয়ে থাকবে না আমাদের দেশ।’
তিনি বলেন, ‘লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের সময় আমরা সব সময় বৈষম্যের স্বীকার হয়েছি। এ দেশের মানুষের শিক্ষার সুযোগ ছিল না। তারা চিকিৎসা পেত না। তাদের খাবার ছিল না, আশ্রয় ছিল না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থ-সম্পদ লুট করে নিয়ে যেত পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী। এমনকি আমাদের মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলারও অধিকার তারা কেড়ে নিতে চেয়েছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তখন তিনি প্রথম রাষ্ট্রভাষার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর ছয় দফা, সত্তরের নির্বাচন ও অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি দেশকে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যান।’
তিনি বলেন, ‘২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরসহ শিশু-কিশোর-নারী-বৃদ্ধ কাউকেই রেহাই দেয়নি তারা। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এর পরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার (বঙ্গবন্ধু) আহ্বানে মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। জাতির পিতা বাঙালির মনে স্বাধীনতার চেতনার জন্ম দিয়েছেন।’
||আপডেট: ১০:০২ পূর্বাহ্ন, ২৬ মার্চ ২০১৬, শনিবার
চাঁদপুর টাইমস /এমআরআর