Home / শিক্ষাঙ্গন / কোনও শিক্ষার্থীকে শারীরিক শাস্তি প্রদান করা যাবে না: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষার্থীকে

কোনও শিক্ষার্থীকে শারীরিক শাস্তি প্রদান করা যাবে না: শিক্ষামন্ত্রী

কওমি মাদ্রাসায় যৌন নির্যাতন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কোনও শিক্ষার্থীকে শারীরিক শাস্তি প্রদান করা যাবে না। আর অন্য রকম নির্যাতন তো অপরাধ। কাজেই কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই অপরাধ সংঘটিত হওয়া উচিত নয়।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘সকল মাদ্রাসার শিক্ষা যুগোপযোগী করা প্রয়োজন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কওমি মাদ্রাসার মধ্যে একেবারেই যারা ভিন্ন রকম শিক্ষা নিয়ে আছেন এবং অনেক বেশি পশ্চাৎপদতা আছে, সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে কোনোই মিল নেই, যেখানে আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে, প্রযুক্তির সঙ্গে, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই, যাদের ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের পথ রুদ্ধ হয়ে যেতে পারে। এসব জায়গায় অবশ্যই রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে। যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়, তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ন্যূনতম যে দায়িত্ব রয়েছে, সেটি যেন তারা পালন করেন। সে বিষয়টিতে আমাদের অনেক বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের এ কাজটি করা প্রয়োজন।

ডা. দীপু মনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় পড়ে জানা, বিভিন্ন মানুষের অভিজ্ঞতা থেকে এবং আজকে যা শুনলাম, আমাদের শিক্ষাক্রম যেটি, সেটি তারা গ্রহণ করেন না। তার মানে তাদের শিক্ষাক্রমটি আলাদা। আমাদের দেশের যে স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা আমরা সব কিছুকে মিলিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম তৈরি করি। কিন্তু তার বাইরে একটি দেশের এমন শিক্ষাক্রম থাকা উচিত নয়।

তিনি বলেন, ধর্মীয় চিন্তাভাবনা থেকে শিক্ষাক্রম করতে পারি কিন্তু ধর্ম তো রাষ্ট্রবিরোধী হতে শেখায় না। ধর্ম আমাদের রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রীয় আইনকানুনকে মানতে শেখায়, মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা করতে শেখায়। কওমি মাদ্রাসায় যা পড়াতে চান তার সঙ্গে আমাদের সাধারণ শিক্ষার বিষয়গুলো যদি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন তাহলে সবচেয়ে ভালো। তাদের কর্মসংস্থানের কোনও সুযোগ নেই। এসব কথা চিন্তা করেই মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমান মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মুনতাসির মামুন। মূল প্রবন্ধ পড়ে শোনান মাওলানা হাসান রফিক। বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, শহীদ জয়া শ্যামলী নাসরিন। আরও বক্তব্য রাখেন জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা এয়াকুব বাদশা। এছাড়া ‘কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা: একজন ভুক্তভোগীর জবানবন্দি’ শীর্ষক নিবন্ধ উপস্থাপন করেন কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন ফাহাদ।

টাইমস ডেস্ক/ ৯ জুন ২০২৩