সকালে ভরপেট নাস্তার পর এককাপ চা না হলে চলে না। আবার শীতের কোনো বেলায় ধোঁয়া উঠা চায়ের কাপে চুমুকের স্বাদই আলাদা। কিন্তু তাই বলে কেবল চায়ের ওপর বেঁচে থাকার কথা চিন্তা করা যায়? ভারতের ছত্তিসগড়ে এক নারীর সন্ধান মিলেছে যিনি বিগত ৩৩ বছর ধরে কেবল চা পান করেই বেঁচে আছেন। আশ্চর্যের বিষয় হলো তিনি রীতিমতো সুস্থ-সবলভাবে দিন কাটাচ্ছেন।
কোরিয়া ডিস্ট্রিক্টের বারাদিয়া গ্রামে বাস তার। নাম তার পিল্লি দেবী। মাত্র ১১ বছর বয়স থেকে সব ধরনের খাবার ত্যাগ করেন তিনি। চা পান শুরু করেন। আর তখন থেকে কেবল চা খেয়েই বেঁচে আছেন। একেবারে ভিন্ন ঘরাণার জীবনযাপনের জন্যে নিজ গ্রামে বিখ্যাত তিনি। স্থানীয়ভাবে সবাই তাকে ‘চা-ই ওয়ালি চাচি’ নামেই ডাকেন।
পিল্লির বাবা রতি রাম জানান, স্কুলে থাকতেই সব খাবার খাওয়া বাদ দেন তার মেয়ে। এখন বয়স হয়েছে ৪৪ বছর। ওই সময় একবার জনাকপুরের পাটনা স্কুল থেকে একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়েছিল পিল্লি। ওখান থেকে ফিরে এসেই খাবার বা পানি খাওয়া একেবারে ছেড়ে দেয় সে।
প্রথম দিকে দুধ চায়ের সঙ্গে বিস্কিট বা ব্রেড খেতেন তিনি। কিন্তু পরে ব্ল্যাক টি খাওয়া শুরু করেন। সূর্যাস্তের পর মাত্র একবার ব্ল্যাক টি খেতেন।
পিল্লির ভাই বিহারী লাল রাজভাদে জানান, অনেকবার বোনকে স্বাস্থ্যবিদের কাছে নিয়ে গেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা জানিয়েছেন যে পিল্লির কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা নেই।
পরিবারের অন্য সদস্যারা জানান, পিল্লি ঘর থেকে খুব একটা বের হন না। গোটা দিন শিবের পূজা করেই সময় কাটান।
কোরিয়া ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালের চিকিৎসক এস কে গুপ্তা বলেন, কেবল চা খেয়ে কোনো মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা অসম্ভব বিষয়। বিজ্ঞানও প্রমাণ করতে পারে না যে কোনো মানুষ ৩৩ বছর ধরে কেবল চা খেয়ে আছেন। কিন্তু পিল্লির বিষয়টা ব্যাখ্যাতীত। সাধারণ উপোস থাকা ভিন্ন কথা। কিন্তু ৩৩ বছর সোজা কথা নয়। এটা অসম্ভব! সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
বার্তাকক্ষ
১২ জানুয়ারি ২০১৯