সারাদেশ

“এ যে ভাই কেজি মাত্র ৪শ’ নিয়া যান, ফ্রিজে ভরেন”

“কেজি মাত্র ৪শ’ কেজি মাত্র ৫ শ। নিয়া যান। ফ্রিজে ভরেন” বিক্রেতাদের এমন হাঁকডাকে সরগরম ইলিশের বাজার। ঢাকা ও তার আশপাশ অঞ্চলের একাধিক বাজারে এভাবেই দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। বৃষ্টি বেশি হওয়ায় পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ ধরা পড়ছে বেশি।

‘দেশি পাবদা আর আইড় মাছ নিয়ে বসেছিলেন সুজন রাজবংশী। আক্ষেপ করে জানালেন,”অন্যান্য দিন আমার দোকানেই ভিড় থাকে। দিন কি উল্টায়া গেলো! আজ ধারে কাছে আইসা দাম জিগানোর কাস্টমার নাই। বেবাকতে (সবাই) ছুটতাছে ইলিশের পেছনে।’

সুজন রাজবংশীর কথার সত্যতা মেলে মাছ বিক্রিতা আশরাফুলের কথায়:”আইজকা এক লাখ ২০ হাজার ইলিশ তুলছি। মোকামে দাম পড়ছে ১৪ হাজার থেকে ২৬ হাজার টাকা মন।

সে হিসেবে প্রায় ৫’শ গ্রামের ইলিশ ৩৫০ আর ৭ থেকে ৮’শ গ্রামের ইলিশ কেনা পড়েছে ৬’শ ৫০ টাকা। কেজিপ্রতি মাছে ২০ থেকে ৫০ টাকা ছাইড় দিচ্ছি”- বলছিলেন আশরাফুল।

টানা বর্ষণে আজ সোমবার অফিসে যাননি সৈকত হাবিব। জানান, কাল থেকেই ফেসবুকের নিউজ ফিডে ‘সস্তায় ইলিশ খাওনের এখনি সময়’ শিরোনামের একটি নিউজ ঘুরপাক খাচ্ছিল। নিউজটাই বৃষ্টির মাঝে আমাকে বাজারে টেনে এনেছে।
আসলেই বেশ সস্তা, আগে ইলিশের দরদাম করার সাহস পেতাম না। ধারে কাছেও ঘেষতাম না। আজ ৭টা কিনলাম। ৬ কেজি ওজন।
মাছের আড়তদাড় মো: রুদ্র জানান, এখন স্বাদেগন্ধে ভাল আর ডিম ছাড়া মাঝারি মানের ইলিশ কেনাই উত্তম। এই আকৃতির ইলিশ যেমন তেলাল, স্বাদেও সেই রকম।

বরিশাল, পটুয়াখালি, পাথরঘাটা, কুয়াকাটা,বরিশালের বিভিন্ন মোকাম থেকে হাজার হাজার ককশিটে করে আসা ইলিশে এখন বাজার সয়লাব।‘মাছের রাজা’কে এখন কেউ কেউ বিক্রি করছেন পদ্মার বলে। আবার চাঁদপুর,চট্টগ্রাম থেকে আসা ইলিশ বরিশালের ইলিশের সাথে মিশিয়েও বিক্রি করছেন অনেকে।

তবে চট্রগ্রামের চাইতে বরিশাল অঞ্চলের ইলিশের স্বাদ বেশি। তাই একেবারে সস্তায় গলে না গিয়ে একটু সচেতন হয়ে ইলিশ কেনার পরামর্শ দেন রুদ্র নামের ইলিশের পাইকার।

নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ক্রেতাদের ঢলে রূপালী ইলিশে চকচকে ভবিষ্যতের স্বপ্নও দেখছেন অনেকে।

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ৬: ২২ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সোমবার
ডিএইচ

Share