চাঁদপুর

চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জে ১২শ’ একর কৃষি জমি অনাবাদির আশংকা

সঠিক সময়ে পানি নিষ্কাশন না করায় চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮টি গ্রামের ছোট-বড় প্রায় ১২শ’ একর কৃষি জমি অনাবাদি থাকার আশংকা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বোরো ধানের চারা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে ওই গ্রামগুলোর কৃষকরা। খবর ইলশেপাড়ের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার ঘাসিপুর চর, চরমটকি, বাশতলী পূর্ব ও পশ্চিম চর, লোহাগড়া চর, চান্দ্রার চর ও সেকদির চরসহ আশেপাশের প্রায় ১২শ’ একর জমিতে এখনো তিন-চার ফুট পানি জমে রয়েছে। যা বিগত কোনো বছর এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে কৃষকরা জানান।

ঘাসিপুর এলাকার কৃষক ইউনুছ তালুকদার, সফিকুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন মিজিসহ অন্য কৃষকরা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের চরবাগাদী ও হাজীমারা পাম্পের মাধ্যমে কৃষি জমির পানি না সরানোর কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। কৃষক হাজি জয়নাল আবেদীন, দুলাল তালুকদার, বশির উল্লাসহ অন্যরা জানান, নানুপুর পাম্প হাউজের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বদরুল মোল্লার সাথে সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে ইট-বালু ও সিমেন্ট ব্যবসায়ীদের যোগসাজশের কারণে এই সমস্যা হয়েছে বলে তারা দাবি করেন।

কৃষকরা আরো জানান, পার্শ¦বর্তী বাগড়া বাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে ছোট-বড় ট্রলার চলার সুবিধার্থে ভেতরের পানি পাম্পের মাধ্যমে বের করা হচ্ছে না। আর এজন্য খেসারত দিতে হচ্ছে কৃষকদের।

চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল জানান, কৃষি জমি অনবাদি হওয়ার আশংকার বিষয়টি তিনি বেশ কয়েকবার সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেনি।

চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের মেকনিক্যাল বিভাগে পাম্পের দায়িত্বে থাকা বদরুদ্দিন মোল্লা জানান, মাছের চাষ করতে ঝিলের থেকে পানি ছাড়ার কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। তিনি স্লুইচ গেটের পাম্পের মাধ্যমে পানি নিয়মানুযায়ী বের করা হচ্ছে বলে দাবি করেন। কারো সাথে যোগসাজশ করে পানি আটকে রাখার বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে ওই সেচ প্রকল্পের যান্ত্রিক বিভাগের চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, কিছু ব্যাক্তি মাছ চাষের জন্য বিভিন্ন স্থানে ক্যানেলের গেট বন্ধ করে রাখার কারণেই এই সমস্যা হচ্ছে। ঐ প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানে বড় ক্যানেলের অনেক নিচে পানি আছে বলে তিনি জানান। বিষয়টি তিনি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে জানান।

আরো পড়ুন- পানি দূষিত ও দুর্গন্ধময়ের কারণে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পে ৮০ ভাগ মাছ বিলুপ্ত

বার্তা কক্ষ, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯

Share