করোনার কারণে সামনের দিনে ভেঙে পড়তে পারে বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা। কোনো কোনো অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে, এমন আভাসও দিচ্ছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি পড়ে না থাকে,সে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার পথ দেখাতে পারে ১১ কোটি একর পতিত জমি,যা জমির প্রায় ৫ শতাংশ।
এদিকে গত মাসের শুরুতে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, যে সমস্ত ভূমি মালিকগন তাদের জমি অনাবাদী বা পতিত ফেলে রাখছেন বা রেখেছেন তাদের জমি ১৯৫০ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত আইনের ৯২ ধারা মোতাবেক ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত করার আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অর্থাৎ কেউ যদি তার কৃষি জমিতে চাষাবাদ না করেন তাহলে সে জমি সরকার নিয়ে নেবে।
সম্প্রতি একই ধরণের একটি ‘গণবিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশ করেছেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকও। এতে বলা হয়েছে, কোন জমি পতিত রাখা যাবে না। কৃষি জমি পতিত রাখা আইনের চোখেও একটি অপরাধ। এরপরেও যদি কোনো ব্যক্তি তার জমি কৃষিকাজে ব্যবহার না করে পতিত রাখেন তাহলে সেই জমি রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত আইন ১৯৫০ এর ৯২(১) ধারা মোতাবেক খাসকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।
বার্তা কক্ষ , ৪ জুন ২০২০
এজি