বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় ধলু মিয়া (৪৫) নামে এক কৃষকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় হত্যাকারী সন্দেহে তার স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে গ্রামবাসীরা।
বুধবার বিকালে উপজেলার দিগদাইড় গ্রামে ওই কৃষকের ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার স্ত্রীর বাঁধন খুলে দেয়া হয়।
জানা যায়, সোনাতলার দিগদাইড় উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত দবির আকন্দের ছেলে ধলু মিয়া প্রায় ২২ বছর আগে পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ আটকরিয়া গ্রামের মকবুল হোসেনের মেয়ে মরিয়ম বেগমকে বিয়ে করেন।
তাদের ছেলে মহসিন আলী এসএসসি পাশ করার পর সিঙ্গাপুরে যাবার জন্য আদম বেপারিকে কিছু টাকা দেয়। অবশিষ্ট টাকা তার শ্বশুরের কাছে দাবি করে আসছিলেন।
এ নিয়ে বুধবার দুপুরে স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে ধলু মিয়ার বাকবিতন্ডা হয়। এর পর বেলা ৩টার দিকে প্রতিবেশিরা ঘরের ছাদের বাঁশের সাথে রশি দিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।
এদিকে পরকীয়া প্রেমের কারণে ধলু মিয়াকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে এমন সন্দেহে গ্রামবাসীরা তার স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে।
শোকাহত মরিয়ম বেগম বলেন, ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর টাকা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছিলো। এজন্য অভিমানে স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। অথচ গ্রামের লোকজন তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে।
সোনাতলা থানার ওসি আবদুল মোত্তালেব জানান, ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহে কৃষক ধলু মিয়া আত্মহত্যা করেছেন। তারপরও নিশ্চিত হতে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে তার স্ত্রীকে বেঁধে রাখার বিষয়টি জানা নেই।’ (যুগান্তর)
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur