Home / উপজেলা সংবাদ / শাহরাস্তি / কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণে ৫ শত একর ফসলি জমি তলিয়ে
কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণে ৫ শত একর ফসলি জমি তলিয়ে

কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণে ৫ শত একর ফসলি জমি তলিয়ে

চাঁদপুরের শাহরাস্তি পৌরসভার মেহেরগোদা খালে কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণের ফলে সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টিতে ৭ টি গ্রামের ৫ শত একর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।

ফলে এ অঞ্চলে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ব্যহত হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা। এ ব্যপারে কৃষকদের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে খাল সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন মাঠ হতে বৃষ্টির পানি মেহেরগোদা খাল হয়ে ডাকাতিয়া নদীতে পৌঁছে। পূর্বে বোরো জমিতে সেচের পানির জন্য কৃষকরা এ খালের উপর নির্ভরশীল ছিল। বর্তমানে এ খাল বিভিন্ন জায়গায় দখল ও কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণের ফলে বিকল্প ব্যবস্থায় সেচ দেয়া গেলেও বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় কৃষকরা তাদের কষ্টের ফসল সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

ওই এলাকা গিয়ে দেখা যায়, পৌরসভার সূয়াপাড়া, করবা, বাদিয়া, চেঙ্গাচাল, পশ্চিম উপলতা গ্রামের ফসলি মাঠগুলো জলমগ্ন হয়ে ৫ শত একর বোরো ধান বিনষ্ট হতে চলছে।

করবা গ্রামের কৃষক মফিজুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমি ঋণ নিয়ে ৪২ শতাংশ জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আমার সে জমি ডুবে গেছে। পানি সরানো ব্যবস্থা না হলে আমার ধান সব নষ্ট হয়ে যাবে।’

একই গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘তার ৬০ শতাংশ জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। সূয়াপাড়া, বাদিয়া, চেঙ্গাচাল, পশ্চিম উপলতা গ্রামের কৃষকরাও তাদের ফসলি জমির জলাবদ্ধতা নিয়ে শংকিত রয়েছে।’

স্কীম ম্যনেজার মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, কৃষি জমিতে সেচের জন্য পূর্বে মেহেরগোদা খাল হতে পানি উত্তোলনের ব্যবস্থা থাকলেও বর্তমানে আমরা গভীর নলকুপের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে, যাতে সেচ ব্যয় বহুগুন বেড়েছে। খালের উপর কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণের ফলে বৃষ্টির পানি না সরাতে ৫ শত একর জমির ধান বিনষ্ট হবার পথে। এতে সহ¯্রাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। পাশাপাশি সেচ প্রকল্পের সাথে জড়িতদের পথে বসতে হবে। করবা গ্রামের কৃষক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু জানান, খালের উপর কৃত্রিম বাঁধ অপসারণে খালটি সংস্কারের দাবিতে তিনি এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোফায়েল হোসেন জানান, অতিবৃষ্টির ফলে বোরো ফসলগুলো পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। মেহেরগোদা খাল আশুসংস্কার না হলে প্রতি বছর এ ধরণের বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে।

শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিব উল্ল্যাহ মারুফ জানান, খালটি সংস্কারে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পৌরসভার মেয়র হাজী আবদুল লতিফ জানান, খাল দখল করে যারা বাঁধ দিয়েছে, কৃষকদের বিপাকে ফেলেছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মোঃ মাহবুব আলমঃ
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২: ৪৫ এএম, ১২ মার্চ ২০১৭, রোববার
ডিএইচ

Leave a Reply