চাঁদপুরে বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করতে মিনি চিড়িয়া খানা, বিশেষ ধরণের শিশু খেলনা, বাহারি রকমের ফুলের বাগানসহ নানা বৈশিষ্ট্য নিয়ে পারিবারিক পরিবেশে চলছে কৃতি কুঞ্জ তিয়া শিশু পার্ক।
চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে মহমায়া মান্দারী এলাকায় ৩ একর ভূমিতে নিয়ে গঠিত পার্কটিতে শিশু, কিশোর ও পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে আসার গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।
কৃতি কুঞ্জ তিয়া শিশু পার্কটির প্রতিষ্ঠাতা ওই গ্রামের মিয়া বাড়ির বাসিন্দা ও বাংলাদেশ পুলিশের অবসর পাপ্ত এআইজি মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবদুল বারি মিয়া। মৃত্যুর পর বর্তমানে তাঁর ছেলে কনক মিয়া এটি পরিচালনা করছেন।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বারি মিয়া পুরো স্বপ্ন পুরণ না করতেই ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। তাঁর স্বপ্ন পুরণে তাঁর ছেলে কনক মিয়া পার্কটিতে আরো নতুন বিনোদনের মাধ্যম সংযোজন করে পার্কটি পরিচালনা করছেন।
বিনোদনের জন্য এতে রয়েছে বিশেষ ধরণের হেলিকপ্টার. রাইডার, স্লিপার, দোলনা, নাগরদোলা, ঘোড়ার চরকা, অজোগর সাপ। এস খেলনার পাশাপাশি বড় ধরণের ফুলের বাগান , স্পিডবোট, মিনি চিড়িয়াখানা হিসেবে বিভিন্ন প্রজাতির বন্য পশু পাখি।
পরিচালক কনক মিয়া চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘তাঁর স্বপ্ন ছিলো চাঁদপুর শিশু কিশোরদের আনন্দ বিনোদনের জন্য শিশু পার্ক করা। স্বপ্ন পুরণ করার জন্য নিজস্ব ৩ একর ভূমিতে কৃতি কুঞ্জ তিয়া শিশু পার্ক শুরু করেন ২০১১ সালে । তারপর থেকেই পার্কটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি হতে থাকে বাড়তে থাকে পর্যটকদের আনাগোনা।’
তাঁর মতে কিছু পার্ক বিনোদনের নামে চালাচ্ছে অনৈতিক কার্যকলাপ। কৃতি কুঞ্জ তিয়া শিশু পার্ক এক্ষেত্রে রয়েছে ভিন্নতা
পার্কটিতে নৈতিক পরিবেশে পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ রয়েছৈ। পরিচালনা, নিরাপত্তা ও অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধে সার্বক্ষনিক ২ জন ম্যানাজার ৩ জন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন।
পার্কটির মালিক কনক মিয়ার চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘পূর্বে পার্কটি আবস্থা কিছুটা নাজুক ছিলো, তিনি এর হাল ধরার পর কিছুটা উন্নত করার চেষ্টা করছেন। বিনোদনের জন্য নতুন আরো কিছু বিষয় সংযোজন করা হয়েছে।’
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:৫৯ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০১৬, রোববার