সম্প্রতি কুয়েতের জাবারিয়া এলাকায় ট্যাক্সিচালক বাংলাদেশির লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে দেশটির পুলিশ ওই লাশটি উদ্ধার করে। তবে ওই সময় বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেনি। হত্যার অভিযোগে অবশেষে সন্দেহভাজন ৩০ বছর বয়সী এক কুয়েতি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিটি মিডিয়া থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, তদন্ত সূত্রে ওই কুয়েতিকে শনাক্ত করা হয় এবং তাকে গ্রেফতারে অভিযান পরিচালিত হয়। সন্দেহভাজন খুনি বাংলাদেশি ট্যাক্সিচালককে ছুরিকাঘাত করে তার ট্যাক্সি নিয়ে পালিয়ে যান। পরে গাড়িটি পুড়িয়ে ফেলারও চেষ্টা করেন।
যেদিন খুন করা হয় ওই দিনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অপারেশন কক্ষ খবর পায় যে এক ট্যাক্সিচালকের মরদেহ মিলেছে। তার দেহে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পাওয়া মাত্র নিরাপত্তারক্ষী দল ঘটনাস্থলে ছুটে যান। প্রাথমিক পরীক্ষায় খুন হয়ে যাওয়া ব্যক্তির কোনো পরিচয় মেলেনি। তার দেহ রীতিমতো রক্তে ভাসছিল।
গোয়েন্দাদের একটি দল তদন্ত শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের খোঁজ পান তারা। জানতে পারেন, ট্যাক্সি থেকে মরদেহটি বের করে ফেলে যাওয়ার দৃশ্যটি দেখেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। যিনি গাড়ি নিয়ে পালিয়েছেন তাকে চিনতে পারেননি কেউ। পরে সেই ট্যাক্সিটার খোঁজ মেলে রাওদা এলাকায়। সেখানে হত্যাকারী ট্যাক্সিটি পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করেন।
অবশেষে সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করতে পারে গোয়েন্দা দল। পরে জাবরিয়া এলাকায় তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। আটককৃত ছুরিকাঘাতের কথা স্বীকার করেছেন। ট্যাক্স নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান হামলাকারী।-জাগো নিউজ
বার্তা কক্ষ
২৫ নভেম্বর,২০১৮