আবহাওয়া

কুয়াশার চাদরে ঢাকল চাঁদপুরসহ সারাদেশ

ফের কুয়াশার চাদরে নিজেকে আবৃত করে নিল চাঁদপুর । সূর্যের দেখা মিলছে না সকাল থেকেই। সেই সুযোগে হাড় কাঁপানো শীত জেঁকে বসেছে। শীতকে আরো শক্তিশালী করেছে উত্তরের শীতল বাতাস।

চাঁদপুরে দীর্ঘদিন ধরে হাঁড় কাঁপানো শীতে মানুষজন কাবু হয়ে আছে। শীত কম লাগলেও যখন আবার সূর্য মামা অচিন বনে হারিয়ে যায়। তখন আবারো শুরু হয় হাঁড় কাঁপানো শীত। তার মাঝে আবার মৃদু বাতাসে শীত মানুষের শরীরে আরো ঝাপটে বসে।

এদিকে টঙ্গীর তুরাগ পাড়ে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঢাকামূখী হলেও আজ সকাল থেকেই এমন আবহাওয়ায় নগরের রাস্তা ফাঁকা দেখা গেছে।

আবহাওয়া অধিদফতেরর পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, তিনটি শৈত্যপ্রবাহ হবে চলতি জানুয়ারি মাসে। সে হিসেবে আজ ১১ জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলো।

এ ব্যাপারে আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক বলেন, আজ থেকে শুরু হওয়া এ শৈত্যপ্রবাহ পাঁচ–ছয় দিন পর্যন্ত চলতে পারে। এতে তাপমাত্রা কমে শীত অনুভূত বেশি হবে। তবে ডিসেম্বরের শৈত্যপ্রবাহের দিনে যেভাবে স্থবির হয়ে পড়েছিল সারা দেশ, তেমনটি হবে না। শৈত্যপ্রবাহটি একেক সময় একেক স্থানে বেশি বিস্তার লাভ করতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আকাশে মেঘ না থাকায় বিভিন্ন জেলায় সূর্যের আলো পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফলে শীত কম অনুভূত হতে পারে সেসব অঞ্চলে। মূলত উত্তরাঞ্চল ও উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলে শীতের অনুভূতি বেশি থাকতে পারে। শহরের চেয়ে গ্রাম এলাকায় শীত বেশি থাকতে পারে।

গত তিন দিন ধরে কেবল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শৈত্যপ্রবাহ ছিল। তবে আজ সেই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ এবং যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। গত তিন দিনের তুলনায় আজ সেসব অঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেড়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস, সারা দেশের রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে আসতে পারে।

উল্লেখ্য গতকাল বিকেল থেকেই উত্তরাঞ্চলে শীত বাড়তে দেখা গেছে। গতকাল অনেক জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি ঈশ্বরদীতে ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায়, ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

করেসপন্ডেট

Share