Home / সারাদেশ / কুসিক ভোট: প্রার্থীদের প্রচারণা ১৮ দিন
ভোট

কুসিক ভোট: প্রার্থীদের প্রচারণা ১৮ দিন

আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রচারের সময় পাচ্ছেন ১৮ দিন। প্রার্থীরা ২৭ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন অনুযায়ী, প্রার্থীরা প্রচার শুরু করতে পারেন প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকে। আর প্রচার শেষ হয় ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে।

কুসিক নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ হবে আগামী ২৭ মে। প্রচারণা বন্ধ করতে হবে ১৩ জুন রাত ১২টায়। ভোটগ্রহণ শুরু হবে ১৫ জুন সকাল ৮টায়। অর্থাৎ প্রচারের জন্য প্রার্থী সময় পাচ্ছেন ২৭ মে থেকে ১৩ জুন, মোট ১৮ দিন।

এ নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তারা হলেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র হিসেবে কামরুল আহসান বাবুল, মো. মনিরুল হক সাক্কু (বিএনপি নেতা ও দুইবারের মেয়র), মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও মাসুদ পারভেজ খান। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান সরে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর মিলে ১৫০ জনের মতো প্রার্থী থাকছেন ভোটের মাঠে।

সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে দলীয় নির্বাচন হয়। এক্ষেত্রে দলীয় প্রার্থীদের প্রতীক জানা থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতীক জানা নেই। এ ছাড়া কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের প্রতীকও বরাদ্দ হবে ২৭ মে। ওই দিন প্রতীক নিয়েই তারা নামতে পারবেন প্রচারে।

কুমিল্লা সিটিতে ভোটগ্রহণ হবে সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি ভোটকক্ষে।

কুসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী ভোটার এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছে দুজন।

ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে, ১৬ হাজার ৪৭৪ জন। আর সবচেয়ে কম ভোটার রয়েছে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে, ৩ হাজার ৮৯৪ জন।

২০১৭ সালের ৩০ মার্চ সর্বশেষ কুসিক নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই বছর ১৭ মে। ভোটগ্রহণ করার শেষ সময় ছিল চলতি বছরের ১৬ মে। কিন্তু বিগত কমিশন বিদায়ের সময় ঘনিয়ে আসায় আর তফসিল দেয়নি। ফলে অতি অল্প সময়ের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে এই সিটি পরিচালনায় দায়িত্ব দিতে হয়েছে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে। নির্বাচনের পর নতুন মেয়র দায়িত্ব গ্রহণ করা পর্যন্ত তিনি করপোরেশন পরিচালনা করবেন।

২০১৭ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু দ্বিতীয়বারের মতো এ সিটিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কুসিকের প্রথম নির্বাচনেও ২০১২ সালে তিনি জয়লাভ করেছিলেন। প্রথমবার বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় সাক্কু স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরের বার বিএনপির টিকিটে ধানের শীষ প্রতীক নিয়েও জয়লাভ করেন। এবারও বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে এবং আজীবন দল থেকে বহিষ্কার করায় সাক্কু হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

দু’টি পৌরসভাকে একীভূত করে ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠন করে সরকার।

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ২৬ মে ২০২২