কুলখানিতে পদদলিত পরিবারকে লাখ টাকা প্রদানের ঘোষণা

চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানি উপলক্ষে আয়োজিত ‘মেজবানি’র খাবার খেতে গিয়ে স্থানীয় রিমা কমিউনিটি সেন্টারে পদদলিত হয়ে মৃত্যু ১০ জনের প্রত্যেকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ লাখ টাকা এবং শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে ৫ হাজার টাকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এক ওয়ার্ড কমিশনার।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে পদদলিত হয়ে ১০ জনের করুণ মৃত্যু হয়েছে। ঢালু রাস্তা দিয়ে হুড়োহুড়ি করে প্রবেশ করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার।

তিনি বলেন, মূল সড়ক থেকে আট থেকে দশ ফুট ঢালুতে কমিউনিটি সেন্টারটির অবস্থান। কমিউনিটি সেন্টারে প্রবেশপথের ঢালু রাস্তা দিয়ে একসঙ্গে কয়েকশ লোক হুড়োহুড়ি করে প্রবেশ করতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে নিচে পড়ে গেলে পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে ১০ জন মারা যান।

জানা গেছে, মৃতদের সবাই সনাতন ধর্মাবলম্বী ও মধ্যবয়সি পুরুষ। এ ছাড়া হুড়োহুড়িতে শতাধিক মানুষ আহত হন।

মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানির জন্য মরহুমের পরিবার ও মহানগর আওয়ামী লীগ শহরের রিমা কমিউনিটি সেন্টারসহ চট্টগ্রাম নগরীর মোট ১৪টি কমিউনিটি সেন্টারে খাবারের আয়োজন করে। স্থানীয় রিমা কমিউনিটি সেন্টারটি প্রায় ১৫ বছরের পুরনো। এখানে শুধুমাত্র ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ১০ হাজার মানুষের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়।

দুপুর ১২টা থেকে কুলখানির খাবার খাওয়ানো শুরু হয়। একসঙ্গে পাঁচশতাধিক মানুষকে ভেতরে প্রবেশ করিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। দুপুর ১টার পর কয়েক হাজার মানুষ গেটের বাইরে অবস্থান নেয়। ভেতরে খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে আরেক ব্যাচ প্রবেশ করাতে গেট খুলে দিলে হুড়োহুড়ি করে মানুষ প্রবেশ করলেই পদদলিতের এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় জামাল খান ওয়ার্ড কমিশনার শৈবাল দাস সুমন জানান, যারা খাবার বিতরণে ছিল তাদের অব্যবস্থাপনা ও অনভিজ্ঞতার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাকে আগে থেকে জানানো হলে আশপাশের কমিউনিটি সেন্টারে খাওয়নোর ব্যবস্থা করা হতো।

পুলিশ জানায়, রিমা কমিউনিটি সেন্টারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০ জন পুলিশ সদস্য ছিল। এছাড়া শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক ছিল। কিন্ত হঠাৎ লোকজনের ভিড় ও হুড়োহুড়ি করে প্রবেশ করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:৩৫ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭, সোমবার
এএস

Share