আকিকাও এক ধরনের কুরবানি। নবজাতকের জন্মের পর তার আকিকা দিতে হয়। সুন্নাত তরিকা হচ্ছে শিশু জন্মের সপ্তম দিন আকিকা করা। ইসলামি চিন্তাবিদগণের মতে এটি একটি মুস্তাহাব আমল।
আকিকার মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলা নবজাতকের বালা-মুসিবত দুর করে দেন। এ আকিকার প্রচলন ইসলাম পূর্ববর্তী যুগেও ছিল। কুরবানির সঙ্গে আকিকা দেয়ার বিষয়টি সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-
কুরবানির সঙ্গে আকিকা করা দোষণীয় নয়। তবে কুরবানি ও আকিকা আলাদা আলাদাভাবে করা উত্তম। একত্রে করলেও তা আদায় হয়ে যাবে। কারণ আকিকাও এক ধরনের কুরবানি। বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে আকিকাকেও ‘নুসুক’ শব্দ দ্বারা প্রয়োগ করেছেন। আর ‘নুসুক’ দ্বারা কুরবানি বুঝায়।
আকিকার নিয়ম
নবজাতক ছেলে হলে ভেড়া, দুম্বা, ছাগল ২টি, আর নবজাতক মেয়ে হলে ১টি দ্বারা আকিকা আদায় করতে হয়।
কুরবানির পশুতে আকিকা করতে হলে পশু যদি গরু, উট, মহিষ হয় তবে ছেলে সন্তানের আকিকায় দুই নাম দিতে হবে। আর মেয়ে সন্তানের আকিকায় এক নাম দিলেইে আকিকা আদায় হয়ে যাবে।
আকিকাও যেহেতু ‘নুসুক’ বা কুরবানি তাই এ মূলনীতিতে আকিকা ও কুরবানি একসঙ্গে আদায় করা যাবে। কুরবানির ক্ষেত্রে শরিয়ত প্রতিষ্ঠিত মূলনীতি হচ্ছে এই যে-
ছাগল, ভেড়া ও দুম্বার ক্ষেত্রে একটি পশু জবাইয়ের মাধ্যমে একটি কুরবানি আদায় হবে। ব্যতিক্রম শুধু ছেলে নবজাতকের ক্ষেত্রে। কারণ তার আকিকার জন্য এ সকল পশু ২টি প্রয়োজন হয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উত্তম পদ্ধতিতে আকিকা ও কুরবানির কারা তাওফিক দান করুন। আমিন।
নিউজ ডেস্ক ।।আপডটে, বাংলাদশে সময় ০৬:৪9 পিএম,১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সোমবার
এইউ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur