জিলহজ মাসের ১০ তারিখ পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়। ঈদের দিন নামাজের পর থেকে তাকবিরে তাশরিকের দিন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত পশু কুরবানি করা যায়।
তবে যিনি বা যারা কুরবানি করবেন তাদের জন্য কিছু কাজ রয়েছে। যা তারা জিলহজ মাস আসার সঙ্গে সঙ্গে তা থেকে বিরত থাকতে হবে।
অর্থাৎ যে ব্যক্তি কুরবানি করবে তার পক্ষে জিলহজ মাসের প্রথম ১০দিন চুল, চামড়া বা নখ কাটা যাবে না। অনেকে এ কাজগুলোকে হারাম বলেছেন।
যদি কেউ এ কাজগুলো করে অর্থাৎ চুল, চামড়া বা নখ কাটে তার জন্য কোনো জরিমানা নেই। তবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এ প্রসঙ্গে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
হজরত উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন জিলহজ-এর ১০ দিন আসে এবং তোমাদের কেউ কুরবানি করার নিয়ত করে; তখন সে যেন নিজের চুল ও চামড়ার কোনো অংশ না কাটে।’ (মুসলিম)
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর যারা কুরবানির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের চুল, নখ বা অযাচিত পশম থেকে নিজেদেরকে জিলহজ মাস শুরু আগেই পরিচ্ছন্ন করে নিতে হবে।
আল্লাহ তাআলা সবাইকে হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ইসলাস ডেস্ক
:আপডেট,বাংলাদেশ সময় ১ : ০০ এএম, ২৬ আগস্ট ২০১৭, শনিবার
এইউ