কুমিল্লা বিভাগে পাশের হারে শীর্ষে চাঁদপুর জেলা

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ২৮ নভেম্বর রবিবার সারাদেশে একযোগে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর পাসের হার ৮৭.৪৪ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ কম। গতবছর পাশের হার ছিলো ৯৩.৫৮ শতাংশ।

এদিকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হারে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে শীর্ষ স্থান দখল করেছে চাঁদপুর জেলা। চাঁদপুর থেকে সর্বমোট ২৮৪টি বিদ্যালয়ের ২৭ হাজার ৬শ’ ৯৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদেরর মধ্যে ২৬ হাজান ৭৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৩৪৬ জন। পাশের হার ৯৪.১৫ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা কুমিল্লা জেলার পাশের হার ৯৩.০৭ শতাংশ। অপরদিকে প্রাপ্ত ফলাফলে চাঁদপুর শহরের বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এপ্লাসে শীর্ষে রয়েছে আল- আমিন স্কুল এন্ড কলেজ একাডেমি এবং শতভাগ পাশ করেছে পৌর শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয়।

বিদ্যালয়গুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, শহরের আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ
থেকে এবছর মোট পরিক্ষার্থী ছিলো ৬১৮ জন। তাদের মধ্য থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬১২ জন। তবে এদের মধ্যে পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো ২জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪৯ জন। এ প্রতিষ্ঠানটির পাশের হার ৯৯.৪৫ শতাংশ।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এবারের প্রাপ্ত ফলাফলে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং খুশি। গত বছরের তুলনায় আমাদের ফলাফল এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার বেড়েছে। এ জন্য আমি ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি উত্তীর্ণ হওয়ার সকল শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করছি। এ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করা হবে।

এবছর শতভাগ পাশে চমক দেখিয়েছে, চাঁদপুর পৌরসভার ব্যায়ে পরিচালিত পৌর শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে এবছর ৩০ জন্য পরিক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভা উত্তীর্ণ হয়েছে। এছাড়াও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। এ সাফল্যের বিষয়ে বিদ্যালয়র প্রধান শিক্ষক মো. ফারুক আহমেদ বলেন, এ ফলাফলের জন্যে আমি আমাদের মেয়র মহোদয়, ম্যানেজিং কমিটি এবং শিক্ষক ও অভিভাবকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

হাসান আলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিক্ষার্থী ছিলো ২২৪ জন এবং উত্তীর্ণ হয়েছে ২২৩ জন। জিপিএ -৫ পেয়েছে ১৬৯ জন। পাশের হার ৯৯.৫৫ শতাংশ। এই ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

জেলার নারী শিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপীঠ মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট পরিক্ষার্থী ছিলো ২৬৮জন। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৬৫ জন। পাশের হার ৯৯.২৫ শতাংশ। এ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ -৫ পেয়েছে ১৫৪ জন। গনি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৬২ জন পরিক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ১৫৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৯৬.৯১ শতাংশ।

বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৪৬ জন পরিক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৩৩৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৯৬.৯৩ শতাংশ।

পুরানবাজার মধুসূদন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৭০ জন পরিক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ১৬৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৯৯.০৬ শতাংশ।

আক্কাছ আলী রেলওয়ে একাডমি থেকে ৬৭ জন পরিক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৬২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৯২.৯৪ শতাংশ।

লেডি প্রতিমা মিত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০৮ জন পরিক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ১৯৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৯৫.১৯ শতাংশ।

লেডি দেহলবী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৯৫ জন পরিক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৮৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৯০.৫০ শতাংশ।

পীর মহসিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৩ জন পরিক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ২৮ জন। জিপিএ-৫ নেই। পাশের হার ৮৫.৩৮ শতাংশ।

ডিএন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৬৪ জন পরিক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৬১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৯৫.৩১ শতাংশ।

নুরীয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪৭ জন পরিক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৪৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৯৫.৭০ শতাংশ।

পুরাণবাজার গালস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৬৬ জন পরিক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৬০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৯০.৯১ শতাংশ।

প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ২৮ নভেম্বর ২০২২

Share