কুমিল্লার লালমাইয়ে “মিশুক চালক” ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র শাহপরান হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
লালমাই ও সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
এবিষয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আজ কুমিল্লার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আজিম-উল-আহসান জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর লালমাইয়ের বড় চলুন্ডা এলাকার ব্র্যাক স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র শাহপরান তার বড় ভাইয়ের ব্যাটারিচালিত মিশুক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর আর বাড়ী ফিরে আসেনি।
পরে লালমাইয়ের বিজয়নগর এলাকায় ডাকাতিয়া নদী থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় শাহপরানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে শাহপরানের পিতার আবদুল মালেক লালমাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গুরুত্ব সহকারে এই হত্যা মামলা পর তদন্তে নামে পুলিশ।
তদন্তের সময় বাগমারা থেকে লালমাই পর্যন্ত বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রথমে অটোরিকশাটি শনাক্ত করা হয়।
পরে অটোরিকশাটি উদ্ধারের সূত্র ধরেই আসামী নুর উদ্দিনসহ তাকে সহযোগীতা ও চোরাই গাড়ি কেনার দায়ে আরো ৩ জনকে আটক করা হয়।
ঘটনার মূল আসামী নুর উদ্দিন একই এলাকার দুধু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, আসামী নুর উদ্দিন মিশুক অটোরিক্সাটি ছিনতাইয়ের জন্য শাহপরানকে হত্যা করে ডাকাতিয়া নদীতে ফেলে দেয়। পরে অটোরিকশাটি মাত্র ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে সে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের আসামীরা তাদের দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রতিবেদক :জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, কুমিল্লা। ১৫ অক্টোবর ২০২০