সারাদেশ

কুমিল্লায় যুবদলকর্মী হত্যা মামলায় আরেক যুবদলকর্মীর মৃত্যুদন্ডাদেশ

কুমিল্লায় যুবদল কর্মী এসএম তৌহিদ সোহেল হত্যা মামলায় আরেক যুবদল কর্মী আহসান হাবিব মিঠুর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদÐাদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে ও দণ্ডিত করা হয়েছে। এ মামলায় অভিযুক্ত অপর দুই আসামীকে খালাস দেয়া হয়েছে।

৯ সেপেটম্বর বুধবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আহসান হাবিব মিঠু নগরীর রেইসকোর্স এলাকার মৃত কদম আলীর ছেলে বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে নগরীর রেইসকোর্স এলাকার লাইট অব বেঙ্গল হোটেলে ১৮ দলীয় জোটের অনুষ্ঠান চলাকালে যুবদলকর্মী আহসান হাবিব মিঠুর সাথে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে এস.এম তৌহিদ সোহেলের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন বিকেলেই রেইসকোর্স এলাকায় এস.এম তৌহিদ সোহেলের বুকে এলোপাথারী কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ওইদিন রাতে নিহত এসএম তৌহিদ সোহেলের স্ত্রী বদরুন্নাহার লুনা বাদী হয়ে আহসান হাবিব মিঠুকে প্রধান আসামী করে ২ জনের নাম উল্লেখ করে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গৌতম তদন্তশেষে ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর আদালতে ৩ জনের নামে চার্জশীট দাখিল করেন।

এ মামলায় ১৭ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ আদালতের বিচারক আহসান হাবিব মিঠুকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট আঃ মান্নান মজুমদার এবং আসামীপক্ষে অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া।

এদিকে সকল আসামীর ফাঁসির রায় না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন মামলার বাদী। রায়ের দিনে আসামীর সাথে বিচারকের কথা বলা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

রায়ের দিনে আদালতের বিচারক আসামীর সাথে কথা বলবেন এমন নজির নেই বলে জানান আসামীপক্ষের আইনজীবি।

প্রতিবেদক:জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, কুমিল্লা ব্যুরো,৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

Share