কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হয়েছে জেলা প্রশাসক নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। ৫ অক্টোবর শনিবার দুপুরে জেলার দাউদকান্দির মেঘনা নদীতে এই নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।
ঐতিহ্যবাহী মেঘনা নদীর পাড়ে এমন আয়োজনে অংশ নিয়ে উৎসবে মেতে উঠে হাজার হাজার মানুষ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাইচ উপভোগ করেন অর্থমন্ত্রী মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এসময় বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিভিন্ন লোকজ ক্রীড়ার মধ্যে অন্যতম একটি নাম নৌকাবাইচ। নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌকা বাইচ প্রচলিত আছে স্মরণাতীত কাল থেকে। বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় নদ-নদীর উপস্থিতি প্রবল এবং নৌকা বাইচ এদেশের লোকালয় ও সংস্কৃতির এক সমৃদ্ধ ফসল।
তিনি বলেন, আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ যখন হারিয়ে যাওয়ার পথে ঠিক তখনই কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সহায়তায় মেঘনা নদীতে এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা সত্যিই প্রসংশার দাবি রাখে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন খসরু এমপি, স্থানীয় এমপি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া, সেলিমা আহমেদ মেরী এমপি, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সেলিনা ইসলাম, কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল (অব.) মো. আবু তাহের, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. আহসানুল আলম কিশোর ও দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
এ প্রতিযোগিতায় নানা রঙের দৃষ্টিনন্দন ১২টি বড় নৌকায় সজ্জিত ১২টি দল অংশগ্রহণ করে। এতে কুমিল্লা ছাড়াও ঢাকা, টাঙ্গাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী থেকে প্রতিযোগিরা অংশগ্রহণ করেন।
নৌকা বাইচটি মেঘনার চরকাঁঠালিয়া থেকে শুরু হয়ে দাউদকান্দি ব্রিজে এসে শেষ হয়।
এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল দল। এ দল প্রধান ওসমান উল্লাহ দলকে নগদ এক লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হয়। প্রতিযোগিতায় রানারআপ হয় গুলিস্তান দল এবং তৃতীয় হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর দল। এছাড়া অপর অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।