কখনো ডিআইজি কখনো এসপি পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদ নামে এক প্রতারককে আটক করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
সোমবার তাকে রাজধানীর খিলগাও থেকে আটক করা হয়। এসময় তার সহযোগী ও গাড়ি চালক রুবেলকেও আটক করা হয় এবং তাদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করে পুলিশ।
১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার জানান, ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদ দীর্ঘদিন যাবত ডিআইজি, এসপিসহ পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে প্রতারনা করে আসছিলো।
সর্বশেষ কুমিল্লায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে চাকুরী দেবার কথা বলে এক চাকুরী প্রার্থীর বাবাকে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজির স্বাক্ষরিত একটি নকল চিঠি দেখান। সেখানে পুলিশের আইজি ও স্বরাষ্ট সচিব সুপারিশ করেছেন মর্মে উল্লেখ করেন। তা দেখিয়ে ওই চাকুরী প্রার্থীর বাবার কাছ থেকে ১১লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। চাকুরীসহ নানাহ কাজের জন্য এভাবেই মানুষকে বোকা বানিয়ে প্রতারিত করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় সে।
এ পর্যন্ত অন্তত ১১ জন তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার অভিযোগ করেন। এই প্রেক্ষিতে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন এর নেতৃত্বে দেবপুর ফাড়িঁর ইন্সপেক্টর মো: সাজ্জাদ হোসেনসহ জেলা গোয়েন্দা শাখার সমন্বয়ে গঠিত টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় তার বাসা থেকে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার পোষাক পরিহিত ছবি, ব্যবহৃত ভুয়া সিল-অফিসিয়াল ডকুমেন্ট উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের পরিচয় দিয়ে পুলিশে চাকরি দেয়া ও বদলিসহ নানান কাজ করে দেবার প্রতিশ্রুতিতে এসব টাকা নেয় ফখরুদ্দিন।
১৯৯১ সালে ফখরুদ্দিন সাব-ইন্সপেক্টে হিসেবে যোগ দিলেও ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে সে চাকরিচ্যুত হয়। ২০০০ সালে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ছিনতাইকালেও গ্রেফতার হয়। ছাড়া পেয়ে সে আবারো প্রতারণা কর্মকান্ড চালায়।
প্রতারক ফখরুদ্দিন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাকুই গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশ সুপার।
পুলিশ সুপার কার্য্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (কুমিল্লা দক্ষিণের অতিঃ পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত) আব্দুল্লাহ আল মামুন,ডিএসবির অতিঃ পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক:জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল