কুমিল্লা থেকে সৌদি আরব প্রবাসী লিটন চন্দ দাসের স্ত্রী পিংকী দাস (২০) গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হয়েছেন। লিটন দাস কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পেড্ডা গ্রামের মৃত রমনী মোহন দাসের পুত্র।
পিংকী দাসের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি পৌরসভার সাহপুর গ্রামে। সে অরুন চন্দ্র দাসের মেয়ে। গত ২ বছর পূর্বে কুমিল্লার বড়ুয়া উপজেলার পেড্ডা গ্রামের মৃত রমনী মোহন দাসের পুত্র লিটন চন্দ্র দাসের সাথে হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী তাদের বিবাহ হয়।
বিয়ের পর পিংকি তার মামার বাড়ি সাহপুরে বসবাস করতো। লিটন দাস সৌদি আরবে ৬ মাস যাওয়ার পর তার স্ত্রীর পিংকি স্থানীয় যুবকের সাথে পিংকী অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে তার স্বামী লিটন দাস বিষয়টি জানতে পেরে তার স্ত্রী পিংকি কে তার বোন সহকারে কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্ট উদয়নবাগে ভাড়া বাসা বসবাস করে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ওই বাসা থেকে নগদ অর্থ স্বর্ণালংকার মোবাইল সহ বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসে নি। ওইদিন থেকে পিংকির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
ঘটনার পর থেকে পরিবারের লোকজন আত্মীয় স্বজনের বাসায় ব্যাপক খোঁজ খবর নিয়ে কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায় নি।
এদিকে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পিংকির মা বিউটি রাণী দাস বুড়িচং থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন (৬১৩)।
এদিকে সৌদি প্রবাসী তার স্ত্রীর নিখোঁজের পর থেকে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন। পরিবারের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য প্রবাসে এসে এরকম দুঃসংবাদ শুনে তার জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। প্রিয়জনদের সুখের কথা চিন্তা করে আজ সে অর্থসহ প্রীয় জনের হারানোর বেদনা শোকে কাতরাচ্ছেন। লিটন দাস আরো জানান, প্রবাসে এসে স্ত্রী নিখোঁজ এটার মতো দুঃখ পৃথিবীতে আর কিছুই নেই।প্রবাসীদের কষ্ট কেউ বুঝে না।
নিজের স্বপ্নকে মেলে ধরতে দেশ ছেড়ে জীবিকার টানে বিদেশে গমন করি। রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর যে অর্থ কামাই সেটাও পাঠিয়ে দিতে হয় দেশে। কি রৌদ্র, কি বৃষ্টি কাজ থেমে নেই। মাঝে মাঝে নিজের জীবনটাও অকালে চলে যায়। ফিরে না আর পৃথিবীতে। শত কষ্ট, লাঞ্ছনা, বঞ্চনা সহ্য করে আপন জনের মুখে হাসি ফুটাবার তাগিদে দিনের পর দিন খেটে চলেছে দিবস, রজনী। সেই মানুষগুলোর সুখ-দুঃখের খবর কজনাই বুজে। দেশের মায়া-মমতা ত্যাগ করে আপনজনদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য নিজ দেশ ছেড়ে বিদেশে যাত্রা শুরু করি।
যে মানুষটা দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে, ঈদের দিনেও ডিউটি, সারা বছর ডিউটি করার পরে ঈদের যে ছুটি মিলে সেই দিনও ছাড় নেই, ডিউটি আর ডিউটি, নিজের সুখ গুলাকে বিসর্জন দিয়ে, দূর প্রবাসে পড়ে আছি।আপন জন ছেড়ে পরিবারের সুখের কথা চিন্তা করে কষ্ট বুকে চেপে রাখি। এঘটনায় আমি আজ চরম হতাশা ও ক্ষতিগ্রস্ত।
আমি সকলের নিকট স্ত্রীর সন্ধান পেতে দেশে অবস্থানরত সকলের কাছে আমার স্ত্রী পিংকির সন্ধান পেতে সহযোগিতা কামনা করছি। যারা আমার স্ত্রীর সন্ধান দিতে পারে তাদেরকে আমি উপযুক্ত পুরস্কার দিবো।
সন্ধান ফেলে এ ইমু নাম্বারে 00966540918163। যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হলো।
পিংকী রাণী দাস বয়স (২০), গায়ের রং ফর্সা,মুখোমন্ডল গোলাকার,উচ্চতা ৫ ফুট,পড়নে গোলাপী থ্রী পিছ পরিহিত ছিলো।
প্রতিবেদক:মোঃ মাহবুব আলম,৯ জুন ২০২০