ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে পৃথক তিনটি দুর্ঘটনায় মহাসড়কজুড়ে তীব্র যানজট দেখা দেয়। এতে হাজার হাজার যানবাহন আটকা পড়ে চালক এবং যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়।
আজ শুক্রবার (৪ মার্চ) ভোর ৪টা থেকে সৃষ্ট যানজট চার লেনের মহাসড়কের উভয় পাশের অন্তত ৫০ কিলোমিটার ছড়িয়ে পড়ে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুপুর পৌনে ২টায় মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার সৈয়দপুর থেকে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পর্যন্ত যানজট দেখা গেছে।
জানা যায়, ভোর সাড়ে ৩টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার পালকি সিনেমা হলের সামনে ঢাকাগামী লরি মহাসড়কের উল্টে যায়। এতেই শুরু হয় যানজট।
এদিকে ভোর ৬টায় উপজেলার দোতলা নামক স্থানে কুমিল্লামুখী ট্রাকের পেছন থেকে অপর একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দেয়। এতে ধাক্কা দেওয়া ট্রাকের হেলপার ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয় ট্রাকচালকও। একই সময় দাউদকান্দি উপজেলার দরানিপাড়া এলাকায় কুমিল্লামুখী কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে দুজন আহত হন।
এদিকে ভোর ৩টায় মহাসড়কে উল্টে পড়া লরি সরাতে হাইওয়ে পুলিশের সময় লেগেছে অন্তত ৩ ঘণ্টা। যে কারণে মহাসড়কজুড়ে তীব্র যানজট হয়। যানজটে আটকা পড়ে বেকায়দায় পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।
ঢাকা থেকে চান্দিনায় আসা মাছ ব্যবসায়ী আফজাল জানান, আমরা দু-এক দিন পরপর যাত্রাবাড়ী থেকে মাছ কিনে চান্দিনায় এনে বিক্রি করি। শুক্রবারের দুটি বিয়েতে আমি মাছ দেওয়ার অর্ডার নিয়েছি। বৃহস্পতিবার রাতে যাত্রাবাড়ী থেকে মাছ কিনে ভোর ৪টায় রওনা হই। প্রতিদিন ভোর ৬টার মধ্যে চান্দিনা পৌঁছার কথা থাকলেও গৌরীপুর থেকে যানজটে আটকা পড়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় চান্দিনা পৌঁছি। এতে কাস্টমার আমার ওপর মারাত্মক ক্ষুব্ধ হয়।
বাসচালক মিজানুর রহমান জানান, বৃহস্পতি ও শুক্রবার এমনিতেই যানবাহনের চাপ বেশি থাকে। মহাসড়কে সামান্য সমস্যা হলেই যানজট সৃষ্টি হয়। এদিকে কয়েক কিলোমিটার ব্যবধানে তিনটি দুর্ঘটনায় যানজট তীব্র হয়েছে। আমি সকাল ৮টায় নিমসার থেকে যানজটে পড়ি। নিমসার থেকে চান্দিনা পাঁচ কিলোমিটার আসতে অন্তত ৩ ঘণ্টা লেগেছে।
হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইন-চার্জ (ইন্সপেক্টর) সাইফুল ইসলাম জানান, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরপর তিনটি দুর্ঘটনায় যানজট তীব্র হয়েছে। যানজট নিরসনে আমাদের হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে। এখন গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে।