কুমিল্লার চান্দিনায় মহাসড়কে দোকানির ছিন্নভিন্ন মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার ১০ দিন পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এক প্রতিবন্ধী কিশারীকে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ করায় চা দোকানি নাছিরকে হত্যা করে গ্রেপ্তারকৃত মোয়াজ্জেম হোসেন এবং অটারিক্সা চালক সানাউল্লাহ।
২৩ জানুয়ারি বৃহষ্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যলয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সৈয়দ মো. নূরুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
পুলিশের দাবি- ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে বুধবার দুপুরে চান্দিনা এলাকা থেকে মোয়াজ্জম নামে একজনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আর মোয়াজ্জেম এর দেয়া তথ্যমতে জানা যায় সানাউল্লাহ ও মোয়াজ্জেম মিলেই তাকে হত্যা করে। এমনকি হত্যাকাণ্ডের পর যাতে কেউ সন্দেহ করতে না পারে সেজন্য তারা এলাকা ছেড়ে যায়নি। পরে ওইদিন রাত ৮টায় চান্দিনার নাওতলা এলাকা থেকে ঘটনার মূল হোতা অটোরিক্সা চালক সানাউল্লাহকে আটক করা হয়।
প্রসঙ্গত ১৩ জানুয়ারি সকালে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নাছির উদ্দিনের ছিন্ন-বিছিন্ন মরদেহের অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতেই নিহতের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে চান্দিনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আজিম-উল-আহসান উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল