কুমিল্লায় দুই লাখ ৬৪ হাজার ৭৪৭ পরিবার পাবে টিসিবির পণ্য

পবিত্র রমজান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারকে টিসিবি’র মাধ্যমে ভূর্তকি মূল্যে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কুমিল্লায় ভূর্তকি মূল্যে টিসিবি’র পণ্য গ্রহণের এ সুযোগ পাবে দুই লাখ ৬৪ হাজার ৭৪৭ পরিবার।

রোববার কুমিল্লা জেলা প্রশাসন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।

জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ২৩ টি স্থানসহ জেলার ১৭ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ পণ্য বিক্রয় হচ্ছে। রোববার থেকে জেলায় প্রথম ধাপে এক লাখ ১১ হাজার ৮শ ৩২টি পরিবারের নিকট পণ্য বিক্রয় করা হয়। জন প্রতি ১১০ টাকায় দুই লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকায় দুই কেজি চিনি, ৬৫ টাকায় দুই কেজি মশুর ডাল দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক জানান, রমজানের শুরুতে দ্বিতীয় পর্যায়ে পণ্য বিক্রয় করা হবে। সেখানে সয়াবিন তেল চিনি ও মশুর ডালের সাথে ছোলাও বিক্রয় করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জেলার আদর্শ সদর উপজেলায় উপকারভোগী রয়েছেন নয় হাজার ৫১০ জন, বরুড়া উপজেলায় ১৮ হাজার ৭৯৫জন, বি-পাড়া উপজেলায় সাত হাজার ৫২৬ জন, বুড়িচং উপজেলার আট হাজার ৭৭১ জন, চান্দিনা উপজেলায় ১৬ হাজার ৯৩ জন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ১৫ হাজার ৮০৬ জন, দাউদকান্দি উপজেলায় ১৬ হাজার ৭৩১ জন, দেবিদ্বার উপজেলায় ১৫ হাজার ৭১৭জন, হোমনা উপজেলায় নয় হাজার ৯৫২ জন, লাকসাম উপজেলায় ১৩ হাজার ৪৯৭জন, লালমাই উপজেলায় ছয় হাজার ৩৮৪ জন, মেঘনা উপজেলায় পাঁচ হাজার ৯৩১ জন, মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ১০ হাজার ৮৩৬ জন, মুরাদনগর উপজেলায় ২৩ হাজার ৯৪৬ জন, নাঙ্গলকোট উপজেলায় ১৮ হাজার ৩৫২জন, সদর দক্ষিন উপজেলায় ছয় হাজার ৮৩৫জন, তিতাস উপজেলায় ছয় হাজার ৮১৪ জন এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৫৩ হাজার ২২৮জন।

রোববার থেকে কুমিল্লায় ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য ভর্তুকি মুল্যে বিক্রি শুরু হয়েছে। রোববার বেলা ১১ টায় কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুর এলাকায় ১১নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হাবিবুর আল আমিন সাদির তত্ত্বাবধানে ১হাজার কার্ডধারী পরিবারের মাঝে চিনি, সয়াবিন তেল, ছোলা ও মশুর ডাল বিতরণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক আরো জানান, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ২০, ২৪, ২৭ ও ৩০ মার্চ এই চারদিন টিসিবির পন্য বিক্রয় করা হবে। আর উপজেলা পর্যায়ে ২০ মার্চ থেকে শুরু করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সমন্বয় করে বাকি দিন গুলোতে পণ্য বিক্রয় করবেন। কেউ যাতে ওজনে কম দেয়া বা কোন অনিয়ম করতে না পারে সেজন্য ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা আছে। এ কাজে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসক বলেন, পণ্য বিতরনে কোন অনিয়ম হলে অথবা পণ্যের দাম বেশী নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কার্ডধারীরা রমজানের আগে পরিবার প্রতি ৬ কেজি পণ্য এবং রমজানে ২কেজি বাড়িয়ে ৮কেজি পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ শওকত উসমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, আদর্শ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদক: জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, ২০ মার্চ ২০২২

Share