কুমিল্লা নগরীর চাঙ্গিনী এলাকার ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনকে (৫৫) প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় আক্তার হোসেন হত্যামামলায় প্রধান আসামী কাউন্সিলর আলমগীর কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক মোঃ আতাবুল্লাহ তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এই মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী কুমিল্লা আইনজীবী সমিতি সভাপতি এডভোকেট আবদুল মোমেন ফেরদৌস। এসময় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম এবং সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আবদুল আলিম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রæতার জের ধরে গত বছরের ১০ জুলাই শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে মসজিদ থেকে বের করে শত শত মানুষের সামনে কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন ও ভাইয়েরা আক্তার হোসেনকে আঘাত করলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় আরও ছয়জন আহত হয়।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী রেখা বেগম বাদী হয়ে কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনকে প্রধান অভিযুক্ত করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা করেন। এতে আরও ১০ জনকে আসামী করা হয়।
কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহবায়ক ছিলেন। আক্তার হোসেনকে হত্যায় ঘটনার পর আলমগীরকে কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের ওই পদ থেকে বহিস্কার করে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।
আক্তার হোসেন হত্যা মামলার পর আলমগীর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। এরমধ্যে তিনি ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাইকোর্টের জামিনে মুক্ত থাকার পর বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করে। এই মামলায় বাকী ৮ আসামি হাইকোর্টের স্থায়ী জামিনে রয়েছে। তবে মামলার ৯ নং আসামি কাউন্সিলর আলমগীরের ভাতিজা জোবায়ের পালাতক রয়েছেন।
প্রতিবেদক:জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল,৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
