রাজধানীর বেইলি রোডের পাঁচতলা থেকে নবজাতককে নিক্ষেপকারী কিশোরী মা বিউটি আক্তার (১৬) তার ভগ্নিপতি নীরবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে। নীরব ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করলে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। কিন্তু চক্ষুলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলে না। পরে সন্তান প্রসবের পর তাকে ছুড়ে ফেলে দেয়।
রাজধানীর রমনা থানায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে মঙ্গলবার মামলাটি করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবীর বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর বিউটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। লজ্জায় বিষয়টি কাউকে বলেনি। তাই সন্তান প্রসবের পর নবজাতককে বাড়ির বারান্দা থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী তার ভগ্নিপতি নীরবের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলাটি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে কিশোরী মা বর্তমানে তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে চিকিৎসাধীন। নবজাতককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রমনার বেইলি রোডের ২৬ নম্বর প্রপার্টিজ ম্যানশনের পাঁচতলায় বি-৫ ফ্ল্যাট থেকে ১ ফেব্রুয়ারি সন্তান প্রসবের পর ছুঁড়ে ফেলে দেয় বিউটি। নবজাতকটি ভবনের কার্নিশে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করে। অসুস্থ অবস্থায় বিউটিকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার শিশুটিকেও ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিউটি আক্তার জানান, তার বাবার নাম আবু বকর প্রামাণিক। তাদের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার নওকর গ্রামে। ঢাকায় বেইলি রোডের ২৬ নম্বর প্রপার্টিজ ম্যানশনের পাঁচতলায় আজমল হক ও ফিরোজা হকের বাসায় ৯ বছর ধরে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে সে।
বিউটি আরও জানায়, ৯-১০ মাস আগে কুমিল্লায় বড় বোন লিপি আক্তারের বাসায় বেড়াতে যায় বিউটি। সেখানে তার বোনের স্বামী নীরব ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। কিন্তু এ কথা সে কাউকে জানতে দেয়নি।
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১২:৪৮ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, বুধবার
এমআরআর