সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টাকালে গণধূলাইয়ে দিয়ে দুই বখাটে অটোরিকশা চালককে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাখরাবাদ- পান্নারপুল সড়কের আড়ালিয়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক দুই বখাটে যুবক মুরাদনগর উপজেলার দারোরা গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে ইসমাঈল (৩৫) ও দক্ষিন পুষ্কনীপাড় গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে মোবারক হোসন মোবা (৩২)।
রাত সাড়ে নয়টায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এ ঘটনায় মুরাদনগর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিলো।
প্রতেক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলেজ ছাত্রীটি দারোরা বাজার থেকে দেবীদ্বার মহিলা কলেজে যেতে গাড়ির জন্যে অপেক্ষা করছিলো। কিছুক্ষণ পর মোবারক হোসেন মোবা নামে অটোরিকশা চালক নিজের সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে কলেজ ছাত্রীর সামনে এসে দাঁড়ায় এবং জানতে চায় মেয়েটি কোথায় যাবে।
মেয়েটি দেবীদ্বার মহিলা কলেজে যাবার কথা বললে, চালক ছাত্রীটিকে গন্তব্যে নামিয়ে দেয়ার কথা বলে গাড়িতে উঠতে বলে। এসময় অটোরিকশায় ইসমাঈল নামে এক ছদ্মবেশী যাত্রী বসা ছিলো। মেয়েটি ওই যাত্রীর সঙ্গে যাবেন না বলে জানায়। পরে চালক মোবারক হোসেন মোবা তাকে ফুসলিয়ে গাড়িতে তুলে। কিছুক্ষণ গাড়ি চলার পর ওই ছদ্মবেশী যাত্রী বখাটে ইসমাঈল কলেজ ছাত্রীর উপর ঝাপিয়ে পড়ে। মেয়েটি নিজেকে রক্ষা করতে ইসমাঈলের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছিলেন। এর মধ্যে গাড়ি আড়ালিয়া নামক স্থানে পৌঁছে যায়। একপর্যায়ে কলেজ ছাত্রীটি আত্মরক্ষার্থে অটোরিকশা থেকে লাফিয়ে পড়ে। এতে তার হাতের হাড় ভেঙ্গে যায়।
বিষয়টি কয়েকজনের নজরে পড়ায় তারা এসে অটোরিকশাটিকে আটক করে ঘিরে ফেলে। পরে ওই কলেজ ছাত্রীর কাছ থেকে ঘটনা জেনে অটোরিকশা চালক মোবারক হোসেন মোবা ও ছদ্মবেশী যাত্রী ইসমাঈলকে ধরে গণধূলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মুরাদনগর থানার ওসি কেএম মজ্ঞুর আলম বলেন, বিষয়টি শ্লীলতা হানির ঘটনা। তবে, আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভুগী ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ওসি।
প্রতিবেদক : জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০