কুমিল্লা প্রতিনিধি | আপডেট: ১২:৫৯ অপরাহ্ণ, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বুধবার
পুলিশের গাড়িতে ডাকাতির চেষ্টার সময় পুলিশের সাথে গুলিবিনিময়ে ডাকাতদলের সদস্য কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী বেলাল হোসেন ওরফে জিরা সুমন নিহত এবং ডাকাত সদস্য জামাল হোসেন আহত হয়েছে। এঘটনায় কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁইয়াসহ ৫ পুলিশ আহত হয়েছেন।
কুমিল্লার গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ হোসেন জানান, বুধবার রাত পৌণে ২টায় কুমিল্লার পালপাড়া ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে জামাল, সহিদ, স্বপন ও জাকির নামে জিরা সুমনের ৪ সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে থেকে ১টি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি এবং ৩টি এলজি উদ্ধার করা হয়েছে।
সুত্র জানায়, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী আশ্রাফের নেতৃত্বে ডিবির একটি টিম ব্রাহ্মণপাড়া থেকে অভিযান চালিয়ে শহরে ফেরার পথে কুমিল্লা-বুড়িচং সড়কের গোমতী নদী তীরবর্তী পালপাড়া ব্রিজ এলাকায় পৌছাতেই ডাকাত দলের ব্যারিকেডের মধ্যে পড়ে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
গোলাগুলির এক পর্যায়ে ডাকাতদলের দু’সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জিরা সুমন নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, নিহত জিরা সুমন নগরীর অশোকতলা এলাকার শাহজাহান সাজুর ছেলে। সে কুমিল্লা জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী তার নামে বিভিন্ন থানায় অন্তত ২ ডজন মামলা রয়েছে। আহত জামাল হোসেন (২৬) জেলার মুরাদনগর উপজেলার ফুলঘর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁইয়াসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বর মাসে কুমিল্লায় গোয়ান্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ হোসেন নগরীর জিরা সুমনের অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হন। গত বছরের ৬ নভেম্বর দুপুরে কুমিল্লা মহানগরীর ঝাউতলায় জিরা সুমনকে আটক করতে গিয়ে গুলিতে আহত হন ডিবির এসআই ফিরোজ হোসেন। এ সময় জিরা সুমনের বাহিনী এসআই ফিরোজের সরকারি পিস্তল লুটে নেয়। পরে ৯ নভেম্বর সকালে সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকায় জিরা সুমনের সহযোগীদের আটক করতে গিয়ে ডিবি পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের গুলিবিনিময়ের সময় নিহত হয় জিরা সুমনের সহযোগী তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী রাব্বী ও জনি। এ ঘটনার পর থেকে জিরা সুমনকে আটক করতে ডিবি ও থানা পুলিশের কয়েকটি টিম দীর্ঘ দিন ধরে কুমিল্লা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসছিল।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫