কুমিল্লায় যমুনা ব্যাংক শাখার তিন গ্রাহকের ৩৫ লাখ টাকা উধাও হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
ব্যাংকটির কুমিল্লার লাকসাম রোড শাখার তিন গ্রাহকের ৩৫ লাখ টাকা উধাও হয়ে গেছে। লাপাত্তার রয়েছেন ব্যাংকের ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন।তিনি নিখোঁজ বলে ব্যাংক কতৃপক্ষ কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় জিডি করেছেন।
কুমিল্লার স্থানীয় একটি দৈনিক এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
সেখানে উল্লেখ করা হয় ‘এ পর্যন্ত তিনজন গ্রাহক কাগজটির সম্পাদককে ফোন করে তাদের হিসাব থেকে এই অর্থ লোপাটের কথা জানালেও এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, কুমিল্লা শহরের লাকসাম রোডে অবস্থিত যমুনা ব্যাংকের গ্রাহক শহরের চর্থার আনোয়ারা বেগম, ঠাকুরপাড়ার নজরুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা জসিম খানের হিসাব থেকে ৩৫ লাখ টাকা অন্য হিসাবে স্থানান্তর ও প্রতারনার মাধ্যমে চেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এর মধ্যে আনোয়ারা বেগমের হিসাব থেকে ১৯ লাখ ৮০ হাজার, নজরুল ইসলামের হিসাব থেকে ৯ লাখ ৬ হাজার, জসিম খানের হিসাব থেকে ৬ লাখ ৯ হাজার টাকা সরিয়ে ফেলা হয়।এই গ্রাহকরা কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন।বিকেলের মধ্যে কেউ কেউ মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন। শুক্রবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় অন্য গ্রাহকরা তাদের হিসাব থেকে অর্থ সরিয়ে নেয়া হয়েছে কিনা তা জানতে পারছেন না।
আনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার হিসাব থেকে ৬ এপ্রিল ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা অন্য হিসাবে সরিয়ে নেয়া হয় এবং ব্যাংক ম্যানেজার সমস্যার কথা বলে তার কাছ থেকে তিনটি চেক নেন।তাতে ৪ এপ্রিল ৬ লাক, ৫ এপ্রিল ৬ লাখ এবং ৬ এপ্রিল ৩ লাখ টাকা তুলে নেয়।তার মোট ১৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার হদিস নেই।
জসিম খান জানান, তার মেসার্স খান ট্রেডার্স নামের হিসাব থেকে ৬ লাখ ৯ হাজার টাকা সরিয়ে নেয়া হয়েছে অন্য হিসাবে।যার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এর বরাত দিয়ে স্থানীয় দৈনিকটি নিজেদের ফেইসবুক পেইজে আরো প্রকাশ করা হয়েছে ‘কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার তদন্ত শামসুজ্জামান জানান, যারা মৌখিকভাবে জানিয়েছেন তাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অপর দিকে ব্যাংক কতৃপক্ষ তাদের ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন নিখোঁজ উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি করেছে।
তিনি জানান, ঠাকুর পাড়ার নজরুল ইসলাম প্রমাণসহ এসে জানিয়েছেন তার হিসাব থেকে ৯ লাখ ৬ হাজার টাকা সরিয়ে নেয়া হয়েছে।‘
এদিকে ওই ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করা হয়েছে বলে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবে উপস্থিত সাংবাদিকের কাছে দাবি করেন তার ভাই শাহাদাত হোসেন ও জাকির হোসেন।
এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লা কোতয়ালী থানার ওসি এম এ রব এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
কুমিল্লা করেসপন্ডেন্ট||আপডেট: ০৮:০৮ অপরাহ্ন, ০৮ এপ্রিল ২০১৬, শুক্রবার
চাঁদপুর টাইমস /এমআরআর