চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই হয়রানি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ এম এ হান্নান।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানায়, গত রোববার ও সোমবার রাতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। পুলিশ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আরিফ পাটওয়ারী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জামাল হোসেন, জেলা যুবদল নেতা জহির মেম্বারসহ আরো অনেক নেতা-কর্মীদের আটকের উদ্দেশ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযান চালায়।
এসময় পৌর বিএনপি নেতা ইউনুছ মিজিকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে জেলা যুবদলের সদস্য মো. আব্দুল মতিন বলেন, গত কয়েক দিনে পুলিশের কার্যক্রমে জনগন আতংকিত। পুলিশ উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিরহ জনগনের মাঝে আতংঙ্ক ছড়াচ্ছে। কোন সুনির্দিষ্ট মামলা থাকলে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু অভিযোগ ছাড়াই হয়রানি বা আতংঙ্ক ছড়ানোর ঘটনা দুঃখজনক।
এদিকে বর্তমান সময়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী উৎসব-আমেজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা থাকলেও পুলিশি অভিযানে অনেকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলহাজ এমএ হান্নান বলেন, ‘কোন ধরনের অভিযোগ ছাড়াই পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানো হচ্ছে। আটককৃতদের পূর্বে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগে পুলিশের দায়েরকৃত গায়েবী মামলার আসামী করা হচ্ছে। আমি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যমূলক পুলিশি হয়রানির ঘটনায় তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নির্বাচনে লেভেল প্লেইং মাঠ নিশ্চিত করতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু ফরিদগঞ্জে পুলিশ সিইসির দেওয়া এই নির্দেশ অমান্য করছে। আমি নির্বাচনের সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে পুলিশকে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি বন্ধের দাবী জানান।’
এবিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদ চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
০৪ ডিসেম্বর,২০১৮