কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে চুরি হওয়া সাতটি মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং আন্তজেলা চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুলাসার এলাকার মো. সাদ্দাম হোসেনকে (৩২) ও মো. ফরহাদ হোসাইন (২৬)।
পুলিশ সুপার জানান, উপজেলার মুন্সিরহাটের আনন্দপুর জামে মসজিদের মাঠ থেকে গত সোমবার একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের মালিক চৌদ্দগ্রামের রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা থানায় একটি চুরির মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত ও মোটরসাইকেল উদ্ধারের অভিযান চালায় পুলিশ।
ফেনীর সীমান্তবর্তী এলাকার লাটিমি রাস্তার মাথা হতে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেয়া তথ্য মতে চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটি নম্বর প্লেট খোলা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম জানায়, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিষ্ণুপুর এলাকার সোহেলসহ মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের তথ্য দেন এবং বিভিন্ন সময় চুরি হওয়া আরও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল তাঁদের কাছে আছে বলেও জানান। তার তথ্যের ভিত্তিতে ওই মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূল হোতা সোহেলের বাড়িতে অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সোহেল ও গ্যারেজ মিস্ত্রি শাহ আলম পালিয়ে যায়। এ সময় চক্রের সদস্য ফরহাদ হোসাইনকে একটি চোরাই লিভো হোল্ডাসহ আটক করা হয়।ফরহাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোহেলের বাড়িতে থাকা তিনটি বিভিন্ন ব্রান্ডের নম্বর প্লেট বিহীন মোটরসাইকেলসহ মোট ছয়টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেপ্তার ও পলাতক আসামিরা আন্তজেলা চোর চক্রের সদস্য। তাঁরা পার্শ্ববর্তী জেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে চোরাই মোটরসাইকেল সোহেলের বাড়িতে এনে নম্বর প্লেট খুলে ও রং পরিবর্তন করে বিভিন্ন লোকজনের কাছে বিক্রি করেন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ওসমান গণি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
প্রতিবেদক: জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, ১১ অক্টোবর ২০২৩