কুমিল্লায় বাড়ছে গোমতীর পানি, প্রস্তুত ৫৮৩টি আশ্রয়কেন্দ্র
টানা মাঝারি ও ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে ২৪ সালের এর মতো এবারও বন্যার আশংকা করা হচ্ছে। এতে গোমতী আশপাশের স্থায়ী বাসিন্দাদের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ভারতে বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় নদীতে স্রোতের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় বন্যার সতর্কতা জারি করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই পানি গোমতী দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে গোমতী নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গোমতীর পানি ৫ মিটারের মতো পনি বৃদ্ধি পেয়েছে।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান জানান, গোমতী নদীর বিপৎসীমা ১১ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার হলেও বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে গোমতী নদীর পানি ৮ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। যা বিপৎসীমার ৩ মিটার নিচে।
নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত আছে। বৃষ্টি থেমে গেলে এবং উজানের ঢল বন্ধ হলে বিপদ কেটে যেতে পারে।
এদিকে কুমিল্লা আবহাওয়া কর্মকর্তা ছৈয়দ আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বেলা ৩টা থেকে গতকাল বুধবার (৯ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায় ১২৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দুই-এক দিন একই অবস্থায় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, মঙ্গলবার থেকে গোমতী নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনো বিপদ সীমার তিন মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তারপরও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম বন্যা প্রস্তুতি রয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ৫৮৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ নগদ অর্থ ও শুকনো খাবার এবং জিআর চাল মজুত রাখা হয়েছে।
প্রতিবেদক: জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, ১০ জুলাই ২০২৫