প্রেমিকা মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় প্রেমিককে গাল-মন্দ করায় প্রেমিকাকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে প্রেমিক যুবক। প্রেমিকের হাতে গুরুতর আহত প্রেমিকা মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ১৪ অক্টোবর রোববার মধ্যরাতে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের ভাগলপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
হামলাকারী প্রেমিক তৌহিদুর রহমান ওরফে তানিস উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। সে নহল চৌমুহনী গ্রামে তার মামার বাড়িতে থাকতো।
আহত তারজিন আক্তার (১৯) ভাগলপুর গ্রামের হোসেন মোল্লার মেয়ে।
স্থানীয়রা হামলাকারীকে আটক করে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ করে। এরপর পুলিশী পাহারায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হামলাকারী প্রেমিক তৌহিদুর রহমান বলেন, তারজিন আক্তারের সাথে আমার দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ইদানিং সে আমাকে সন্দেহ করছে। রবিবার রাতে ফোনে কথা বলার সময় একপর্যায়ে সে আমাকে গাল-মন্দ করে এবং আমার সাথে খারাপ আচরন করে। এতে করে আমার মাথা গরম হয়ে যায়। এরপর সাথে একটি ছুরি নিয়ে রাতেই আমি তারজিনের বাড়ীতে যাই। গিয়ে রুমের মধ্যে তার সাথে কথা বলি। সে তখন আবারও আমাকে গাল-মন্দ করে তখন আমার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে তাকে আঘাত করি। এই কাজটা করা আমার মোটেও ঠিক হয়নি।
আহত তারজিন আক্তারের চাচাত বোন তাসলিমা আক্তার বলেন, রাত ২টার দিকে চিৎকার চেচামেচি শুনে আমরা বের হয়ে দেখি বিছানার উপরে তানজিন গলা কাটা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ছেলেটাকে কয়েকজনে ধরে রাখছে। তারপর তানজিনকে পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেএখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ এসে হামলাকারী ছেলেটাকে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউসুফ মোল্লা বলেন, ঘটনাটি অমানবিক ও হৃদয়বিদারক। মেয়েটার অবস্থা আশংকাজনক। তুচ্ছ বিষয়ে এমন হামলার ঘটনা কোন সুস্থ মানুষ করতে পারে না। আমরা তার কঠিন বিচার চাই।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক বলেন, ঘটনায় হামলাকারী পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলেই মামলা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিবেদক: জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, ১৪ অক্টোবর ২০২৪