কুমিল্লায় পানি বাড়ছে বন্যাদুর্গত এলাকায়, বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ  

কুমিল্লার গোমতীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার নিচে নেমে এলেও পানির উচ্চতা বেড়ছে বন্যা দুর্গত বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া, ও মনোহরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা।

পানিবন্দী কয়েক লাখ মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পানিবন্দী এসব মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে গেলেও কমছেনা মানুষের দুর্ভোগ। কারন লোকজন দূর দুরান্ত থেকে শত শত ট্রাকে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে আসলেও সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে ভুল পথে আসার কারনে যথাযথভাবে  দূর্গতদের কাছে বিতরন করা সম্ভব হচ্ছেনা। এদিকে এখনো অনেক দুর্গত এলাকায় পৌছছেনা ত্রাণ সামগ্রী।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি কুমিল্লা মনোহরগঞ্জে খাদ্য সংকটে হাহাকার বন্যা কবলিত ১৪টি উপজেলায় পানিবন্ধী মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১০ লাখ ৬১ হাজার। রান্না ঘর বসত ভিটা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জ্বলছে না চুলা। দেখা দিয়েছে খাবারের জন্য তীব্র হাহাকার।

কুমিল্লার গোমতীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার নিচে নেমে এলেও পানির উচ্চতা বেড়ছে বন্যা দুর্গত বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাইশ গাঁও, হাসনাবাদ, সরসপুর, ঝলম উত্তর ও দক্ষিণ, মৈশাতুয়া, লক্ষণপুর, উত্তর হাওলা, নাথে পেটুয়া এবং বিপুলসারসহ ১১টি ইউনিয়ন ।

নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে কুমিল্লার দেবীদ্বার, মুরাদনগর, হোমনা ও তিতাস উপজেলার কিছু এলাকা। এসব দুর্গত এলাকায় প্রচুর পরিমাণে শুকনো খাবারসহ অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী এলেও খুবই অপ্রতুল রান্না করা খাবার এবং খাবার পানি। এতে করে বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া, মনোহরগঞ্জ উপজেলার পানিবন্দী কয়েক লাখ মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পানিবন্দী এসব মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে গেলেও কমছেনা মানুষের দুর্ভোগ।

কারন লোকজন দূর দুরান্ত থেকে শত শত ট্রাকে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে আসলেও সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে ভুল পথে আসার কারনে যথাযথভাবে  দূর্গতদের কাছে বিতরন করা সম্ভব হচ্ছেনা। এদিকে এখনো অনেক দুর্গত এলাকায় পৌছছেনা ত্রাণ সামগ্রী।

সাইকেলিস্ট ও কুমিল্লা রাইডাসের সদস্য রোটারিয়ান মোঃ রফিকুল ইসলাম (রকি), সদস্য জানান বানভাসীরা শুরু থেকেই প্রচুর পরিমাণ শুকনো খাবার পাচ্ছেন তবে, এসব শুকনো খাবার আর খেতে পারছেন না তারা।পাশাপাশি রান্না করা খাবার এবং শিশু খাদ্য, গোখাদ্য, অন্যান্য পশু-পাখির খাবার নিয়ে আসার অনুরোধ করেন অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সাহিদা আক্তার জানান  এ এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে।

এখন শুকনো খাবারের পাশাপাশি প্রয়োজন চাল ডাল জাতীয় ভারী খাবার অর্থাৎ রান্না করা খাবার এবং ঔষধ।

এক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এর গত ২২ আগস্ট রাতে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া গ্রামে গোমতীর প্রতি রক্ষাবাধ ভেঙ্গে যায়।

পরে ব্রাহ্মনপাগায় সালদা নদী ও গুংগুর নদীর পাড় ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে প্লাবিত হয় বিভিন্ন এলাকা।

আজ গোমতীর পানি বিপদ সীমার ১৫  সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

প্রতিবেদক:জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, ২৮ আগস্ট ২০২৪

Share