কুপ্রস্তাবে ছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি

চট্টগ্রাম করেসপন্ডেন্ট :

অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমুদ্র ও মৎস্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চবি সমুদ্র ও মৎস্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রভাষক সাইদুল ইসলাম সরকারের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ এনে গত ১২ এপ্রিল ইনস্টিটিউটের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ছাত্রীটি। এ ব্যাপারে ২২ এপ্রিল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আলমগীর চৌধুরী বলেন, আইন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এএফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান ও সহকারী প্রক্টর অরূপ বড়ুয়া। তবে তদন্ত কমিটির কাজের অগ্রগতি না দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন ওই ছাত্রীর পরিবার।

লিখিত অভিযোগে ছাত্রী জানান, হলে সিটের জন্য ইনস্টিটিউটের প্রভাষক ও প্রীতিলতা হলের আবাসিক শিক্ষক সাইদুল ইসলাম সরকারের কাছে যান তিনি। এ সময় ওই শিক্ষক তাকে নানা প্রলোভন দেখান। অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা বলেন। তার প্রস্তাবের প্রতিবাদ করলে ইনস্টিটিউট থেকে তাকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয়।

ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ের লিখিত অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে নানাভাবে মুঠোফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, অভিযোগ তুলে না নিলে মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে। মেয়ের লাশ পাওয়া যাবে। আমরা এ সব থেকে মুক্তি চাই।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রভাষক সাইদুল ইসলাম সরকার এখন নিউজ না করতে অনুরোধ করেন এই প্রতিবেদককে। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে আমিও একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছি। একটি তদন্ত কমিটিও গঠন হয়েছে। এরপর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে যদি কেউ দোষী হয় তখন নিউজটা করবেন।’

সমুদ্র ও মৎস্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সাইদুর রহমানের সঙ্গে কথোপকথন রেকর্ডের একটি মেমোরি কার্ডও দেন ছাত্রী। এ ব্যাপারে ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।’

তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘তদন্ত কাজ চলছে। মঙ্গলবার আমরা এ বিষয়ে নিয়ে বৈঠক করেছি। আশা করছি ১০-১২ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।’

চাঁদপুর টাইমস : ‍এমআরআর/২০১৫

 

 

Share