গতিময় শহুরে জীবন থেকে আরো দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে আমাদের গাড়িটি! যেন ইট-কাঠ-পাথরের এ শহর থেকে বেড়িয়ে নিজেকে প্রকৃতির আপন আলোয় খুঁজে পাওয়া।
আজব শহর, যাদুর শহর ঢাকা থেকে এ ভাবনা ভাবতে ভাবতে বাতাসের ছন্দ আর গতিময়তা আরেকটু বেড়ে গেলো।
আমাদের গাড়িটিও এগিয়ে চলছে আপন গতিতে। এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেলো নিজেদের মধ্যে খোশ গল্প। কত কাজ কত ভাবনা।
এসব কিছু থেকেই নিজেকে সাময়িক বিরতি।
রাস্তার দু-পাশে প্রকৃতির আপন হাতে পরশ বুলিয়ে দিয়ে, যেন নিজ হাত সাজিয়ে তুলেছে তার আপন ধরনী।
প্রকৃতির এত রূপ, রং, রস ও গন্ধে মাতাল করে দেয়। এভাবেই একটু একটু করে খানিকটা পথ পাড়ি দিতে দিতে চোখ আটকে গেলো রংধনুর সাত রংয়ে।
সুবিশাল অকাশের এককোনে যেন রংয়ের মেলা বসেছে। আর সেই রং নিয়ে আকাশে বসেছে সাত রংয়ের খেলা!
আর সেই রংয়ের মেলায় ভেসে ভেসে তিনশ ফিটের রাস্তা অতিক্রম করে এগিয়ে চলছি আমাদের গন্তব্যের দিকে।
পাঠক ভুলেই গিয়েছি! আপনাদেরকে এখনও আসল কথা বলাই হয়নি।
আমরা যাচ্ছি রাজধানী ঢাকার অদূরে অবস্থিত বাংলা ছবির এ সময়ের জনপ্রিয়, ব্যবসা সফল কিংবা সুপারস্টার, কিং খান খ্যাত শাকিব খানের পূবাইলের বাড়িতে।
যেটি ছবির শুটিং স্পট হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। এছাড়া মাঝে মাঝে যখন কাজ করতে করতে ক্লান্তি সংস্পর্শে চলে,
কিংবা খানিকটা অবসাদ তাকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করে, ঠিক তখনই এ গৃহে চলে আসেন তিনি। কিছুটা সময় নিজেরমত করে এখানে কাটিয়ে যান।
সূর্যটা তখন পশ্চিমের কোনে হেলে পড়ছে পড়ছে ভাব। আর ঠিক সেসময়েই আমরা জান্নাতের সদর দরজায় পা রাখলাম।
সুবিশাল দোতালা এ বাড়িটি আড়াই বিগার উপরে অবস্থিত। শাকিব খানের দাদির নাম অনুসারেই এ বাড়ির নামকরণ।
সদর দরজা পেরিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতেই শুটিংয়ের সরঞ্জামাদির বেশ জটলা চোখে পড়ল। কারণ এখানেই হাসিবুর রেজা কল্লোলের পরিচালনায় ‘সত্ত্বা’ ছবির শুটিং চলছে। আর এর নায়ক শাকিব খান।
বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক জানালেন, ‘এখানে প্রতিদিন শুটিং করলে ৩৫০০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়’।
বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেলো নিচতলায় শুটিং সেটের সরঞ্জাম দিয়ে ঠাসাঠাসি করে রাখা হয়েছে! শুটিং সংশ্লিষ্ট লোকজনের আনাগোনা লক্ষ করা গেল।
কিছুক্ষন নিচতলায় অপেক্ষা করে জানা গেলো শাকিব খান বাড়ির দোতলায় অবস্থান করছেন। কিছুক্ষন পরেই সেটে আসবেন।
তারা জন্য দ্বিতীয় তলায় বসেই অপেক্ষার প্রহন গনা শুরু। এরই ফাঁকে বাড়ির দক্ষিণের জানালা দিয়ে তাকাতেই মনে হল যেন, প্রকৃতর রূপ এতো অপরূপ হয়!
জলাধার- তারপর বৃক্ষরাজির সারি। দূর থেকে দেখলে মনে হয় বৃক্ষ আর জলরাশির এক অপরূপ মেলা বসেছে! এদিকে দোতলায় বসার জন্য সুন্দর ও পরিপাটি রূপে সাজানো রয়েছে সোফা।
দেয়ালে দেয়ালে চিত্রকর্মের ওয়ালম্যাট টাঙানো রয়েছে। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কথা হলো শাকিবের সঙ্গে জানালেন, ‘মূলত বাড়িটির লোকেশনের কারণেই এটি কেনা হয়েছে।
বাড়ির চারপাশের পরিবেশও বেশ সুন্দর। আরও জমি কেনার চেষ্টা চলছে। এছাড়া বাড়িটি আরও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।’
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১:০০ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ