কিস্তি উঠানোর নামকরে এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ দুই সন্তানের জননী

কিস্তি উঠানোর নাম করে বাড়ী থেকে বেরহয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ দুই সন্তানের জননী মুক্তা আক্তার। মায়ের পথ চেয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন এগারো বছরের ছেলে মিরাজ হোসেন ও চার বছরের মেয়ে নাফিজা আক্তার। এদিকে বৃদ্ধ শশুর নুরুল ইসলাম অনেক খোঁজাখুঁজি শেষে প্রবাসী ছেলের অবর্তমানে থানায় নিখোঁজ ডাইরী করতে বাধ্য হয়েছেন। এক যুগের সংসার ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া এ গৃহবধূ হচ্ছেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৪ নং সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নুরপুর তালুকদার বাড়ীর প্রবাসী জসিম উদ্দিনের স্ত্রী মুক্তা আক্তার (২৯)।

লিখিত অভিযোগ সৃত্রে জানাযায়, গত ৫ জুন বুধবার স্বামীর বাড়ী থেকে হাজীগঞ্জ কিস্তি অফিসের নাম বলে বের হয় গৃহবধু মুক্তা আক্তার। সাথে কিস্তি অফিসের পূর্বের এক লক্ষ টাকা নিয়ে যান নতুন করে কিস্তি উঠাবে বলে। তার পর বাড়ী না ফেরায় পরের দিন তার বাবার বাড়ি হাজীগঞ্জের এনায়েতপুর গ্রামে খোঁজ করলে তাদরর এখানেও যায়নি গৃহবধূ মুক্তা আক্তার।

এদিকে গৃহবধূর দুই সন্তান মায়ের অপেক্ষা প্রহর গুনছেন আর মালেশিয়া বসে স্বামী জসিম স্ত্রীর এহেন কান্ডে হতভম্ব হয়ে পড়েছেন।

নিখোঁজ গৃহবধূর শশুর নুরুল ইসলাম বলেন, তাদের ভালোবাসার সংসার আমি মেনে নেই গত এক যুগ পূর্বে। সেই গৃহবধূ আজ সপ্তাহের উপরে দুই সন্তান রেখে নিখোঁজ। যেদিন যায় সাথে এক লক্ষ টাকা নিয়ে বের হয় কিস্তি অফিসের নাম করে। পরে দেখি টাকা ছাড়াও ঘরের কয়েক ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়। আমার ছেলে বিদেশ থাকায় আমি বাধ্য হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। অবুঝ সন্তানদের দিকে তাকিয়ে হলেও সে যেখানেই গেছে ফিরে আসার আহবান জানাই।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল বলেন, সমাজের অবক্ষয় ও ধর্মীয় বিশ্বাসের অভাব দেখা দেওয়ায় দিন দিন গৃহবধূরা উপযুক্ত সন্তান রেখে এভাবে চলে যায়। গৃহবধূ মুক্তা বেগম নিখোঁজ ডাইরী অনুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তাকে খতিয়ে দেখতে বলবো।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ১৩ জুন ২০২৪

Share