কিশোর গ্যাং এর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করায়
অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে নিরীহ আলেম পরিবারের দুই আলেমকে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মাওলানা মোঃ রহমতউল্লাহ খন্দকার বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
কিশোর গ্যাংয়ের অতর্কিত হামলায় মাওলানা রহমত উল্লাহ ও হাফেজ হাবিবুল্লাহ গুরুতর আহত হয়। তাদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আহতদেরকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। তারা চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের আব্দুল মান্নান শেখ, রিয়াদ শেখ ও কবির শেখ স্থানীয় বখাটে কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। তারা দীর্ঘদিন যাবত বয়োবৃদ্ধ হাফেজ মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ খন্দকারের সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
হাফেজ মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ খন্দকার এর পরিবার বাড়িতে না থাকায় তারা বিভিন্ন সময়ে বখাটে ছেলেপেলেদের মাধ্যমে বাড়ির নারিকেল সুপারি পেয়ারা ও ফল ফলাদি জোর করে নিয়ে যায় এবং অসহনীয় অত্যাচার চালায়।
ইতিপূর্বে মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ খন্দকার চাঁদপুর মডেল থানায় ও জেলা জজ কোর্টে তাদের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ করেও তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থামাতে পারেনি। এ ছাড়াও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এদের বিরুদ্ধে একাধিকবার সালিশ দরবার করেছে।
হাফেজ মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ খন্দকার দক্ষিণ বালিয়া গ্রামের একজন প্রসিদ্ধ সম্মানিত ব্যক্তি তার প্রত্যেকটি ছেলে-মেয়ে আলেম। স্থানীয় মসজিদ-মাদ্রাসায় দায়িত্বে রয়েছেন।
স্থানীয় কালুগাজি ও পগু পাটোয়ারীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, নিরীহ মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ সাহেবের সম্পত্তি দখল করার জন্য তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্নভাবে পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। কাগজে পত্রে বিচার-আচারে জিততে না পারায় বখাটে কিশোর গ্যাং এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিভিন্ন সময়ে তাদের উপর হামলা চালানো হয়।
মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ শেখ বলেন, এর আগে চেয়ারম্যান খানজাহান আলী পাটোয়ারী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাঁদপুর সদর সার্কেল ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে একাধিকবার সতর্ক করেন তারা।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান ,দ্রুত এর একটা সমাধান করা উচিত। তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
নিজস্ব প্রতিবেদক