ভারতের দিল্লিতে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর গায়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগুনে কিশোরীর শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। সোমবার দিল্লি শহরের নিকটবর্তী বৃহত্তর নইদা এলাকার তিগ্রি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। সংকটাপন্ন অবস্থায় ওই কিশোরীকে হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, দিল্লির সফদারজং হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার ও আগুন লাগিয়ে দেওয়া কিশোরীর চিকিৎসা চলছে। ধর্ষণের অভিযোগে তিগ্রি গ্রামের অজয় শর্মা (১৮) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দিল্লির সফদারজং হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কিশোরীর শরীরের বেশির ভাগ অংশই পুড়ে গেছে। এ কারণে তাঁর চিকিৎসা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে সংক্রমণ এড়াতে বেশ কয়েকবার অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে।
বৃহত্তর নইদার পুলিশ কর্মকর্তা রাকেশ যাদব বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে নিরাপত্তা দিচ্ছে একদল পুলিশ। তাঁর বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। ওই কিশোরী অভিযোগ করেছে, অজয় তাঁকে ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা পেশায় একজন দর্জি এবং তিগ্রি গ্রামে একটি দোকান চালান। তিনি বলেন, অজয় ও তাঁর মেয়ের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে অজয় তাঁর মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যায়। তাঁরা বাড়ির ছাদে দেখা করে। ওই সময় অজয় তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে এবং গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে সে পালিয়ে যায়। মেয়ের চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে যান।
কিশোরীর বাবা আরো বলেন, ১০ মাস আগে তিনি অজয়ের পরিবারের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ওই সময় আর সমস্যা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছিল অজয়ের পরিবার। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওই সময় পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণে অভিযুক্ত ও ধর্ষণের শিকার দুজনেই ভিন্ন ধর্মের। এ ঘটনায় উত্তেজনার ছড়িয়ে পড়ায় আশঙ্কায় তিগ্রি গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, ০৮ মার্চ ২০১৬, মঙ্গলবার
এমআরআর