ঋতু পরিবর্তনের পালাবদলে আসে শরৎকাল। শরৎ আগমনের অন্যতম প্রতীক কাশফুল আর নীল আকাশের বুকে ভেসে বেড়ানো শুভ্র মেঘের ভেলা। রিমঝিম বর্ষার পরেই ভাদ্র-আশ্বিনজুড়ে হয় শরৎ কালের রাজত্ব। শরৎ মানেই নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর কাশফুলের শুভ্রতা। প্রকৃতিতে যখন শরৎকাল আসে তখন কাশফুলই জানিয়ে দেয় এর আগমনী বার্তা। তবে কালের বিবর্তনে গ্রামীণ দৃশ্যপট থেকে যেনো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে শরতের কাশফুল। এতে চাঁদপুরও তার ব্যতিক্রম নয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে যেন ফুটে উঠেছে কাশফুলের অভয়ারণ্য।
যদিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে তার তিন পাশে কাশফুলের গড়ে উঠা দৃশ্য যেন প্রকৃতি প্রেমীদের হৃদয় নাড়া দিয়ে উঠেছে। তাইতো প্রতিদিন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি নানা শ্রেণীর মানুষ এক ফলক শীতল হাওয়ার অপেক্ষায় এখানে এসে প্রশান্তি খুজে নিচ্ছে। হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কের পাশে এমন দৃশ্য দেখে মাঝে মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ী থামিয়ে কাশফুলের সাথে নিজেদের ছবি তুলতে দেখা যায়।
দর্শনার্থী হাবিব, আনোয়ার, ফাতেমা ও শিশু সৈকত চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘সত্যি জায়গাটা খুব সুন্দর লাগছে। এতো বড় কাশফুলের বাগান এখানে গড়ে উঠেছে তা আমাদের জানা ছিল না। আগের মত এখন আর তেমন চোখে পড়ে না কাশফুল।’
এসব কাশ দিয়ে গ্রামের বধূরা ঝাঁটা, ঝুড়িসহ নানান প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরি করে। কৃষকের ঘরের ছাউনি হিসেবেও এর ব্যবহারের জুড়ি নেই। তাছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কাশফুল শুকিয়ে ঝাড়ু তৈরি করে বাজারজাত করে আসছে গত কয়েক বছর ধরে। এ উদ্ভিদটি সাধারণত ৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। গাছটির চিরল পাতার দুই পাশ বেশ ধারালো। নদীর ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল, শুকনো এলাকা, পাহাড় কিংবা গ্রামের উঁচু জায়গায় কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে। তবে নদীর তীরেই কাশফুল বেশি জন্মাতে দেখা যায়।
প্রতিবেদকঃ জহিরুল ইসলাম জয়, ৫ অক্টোবর ২০২১