ফরিদগঞ্জে ৩৭ মণ ওজনের কালা বাবুর দাম ১৫ লাখ টাকা

পবিত্র ঈদুল আজহায় স্থানীয় পশুর হাটে বিক্রির জন্য নেওয়া হবে ৩৭ মণ ওজনের ‘কালা বাবু’কে। খামারি ষাঁড়টির দাম হাঁকাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা।

এ ষাঁড়টি গত চার বছর ধরে লালন পালন করছেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের পাটওয়ারী বাজার সংলগ্ন মায়ের দোয়া হালিমা ডেইরি ফার্মের পরিচালক সেন্টু মিয়া।

অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি লম্বায় ১০ ফুট, উচ্চতায় ৮ ফুট। ষাঁড়টি দেখার জন্য প্রতিদিন লোকজন বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে ভিড় জমাচ্ছেন।

ফার্মের লোকজন জানান, খামারি সেন্টু মিয়া ‘কালা বাবু’কে তার মায়ের দোয়া হালিমা ডেইরি ফার্মে সংগ্রহ করে আনেন চার বছর আগে। এরপর থেকে কালা বাবুকে দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন-পালন করছেন। এছাড়া সেন্টু মিয়ার খামারে প্রায় ৯০টি গরু রয়েছে। এবারের ঈদে বিক্রির জন্য ৩০টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। কালা বাবুর ওজন ১৫০০ কেজি বা (সাড়ে ৩৭ মণ)।

কালা বাবুকে পালনকারী রেজাউল করিম বলেন, এ ষাঁড়টি আমাদের অনেক আদরের। আমরা কালা বাবুকে দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন পালন করেছি। চাঁদপুরে বিক্রি করতে না পারলে কালা বাবুকে ঢাকার হাটে নিয়ে যাব।

খামারে কালা বাবুকে দেখতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা খোকন মিয়া বলেন, আমার বয়স ৬০ বছর। এত বড় ষাঁড় এর আগে দেখিনি। সবাই দেখতে আসে, তাই আমিও দেখতে এলাম।

খামারি সেন্টু মিয়া বলেন, ষাঁড়টি দেখতে কালো, তাই নাম রেখেছি ‘কালা বাবু’। সে খুবই শান্ত প্রকৃতির। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের পরামর্শক্রমে কোনো প্রকার ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাওয়ানো হয় এটিকে। কেউ গরুটি কিনলে আমরা তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেব।

তিনি আরও বলেন, আমি চাচ্ছি কালা বাবুকে চাঁদপুরে বিক্রি করতে। কালা বাবুর পেছনে আমার প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সামান্য লাভ হলেই বিক্রি করে দেব। এছাড়া খামারে আগামী বছর কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য ‘হিরা মানিক’ ও ‘কালা চান’ নামে দু’টি বড় ষাঁড় প্রস্তুত করা হচ্ছে।

চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ডা. জুলহাস আহমেদ বলেন, জেলার চাহিদা অনুযায়ী পশুর ব্যবস্থা রয়েছে। আশা করি, এ বছর খামারিরা পশুর ভালো দাম পাবেন।

স্টাফ করেসপন্ডেট, ৫ জুলাই ২০২২

Share