কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় যান-চলাচলে চরম দুর্ভোগ

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ধীরগঞ্জ-যাদুরাণী পাঁকা সড়কে আমজাদ পাড়া নামক স্থানে কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় যান চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ভেঙ্গে যাওয়া কালভার্টটি দিয়ে রাতে মানুষ চলাচলের সময় কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। দ্রুতভাবে সংস্কার না করার ফলে কালভার্টটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ধীরগঞ্জ-যাদুরাণী পাঁকা সড়কে আমজাদ পাড়া নামক স্থানে কালভার্টটির দক্ষিণ অংশটির ছাদ ভেঙ্গে বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। দূর থেকে গর্তটি অনুমেয় না হওয়ার ফলে রাস্তায় চলাচলের সময় অনেক অজানা মানুষ ও যানবহান প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। দূর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় লোকজন গর্তের মাঝে বাঁশের সাথে লাল কাপড় বেঁধে দিয়ে বিপদ সংকেত চিহ্নিত করে রেখেছেন।

উপজেলার বকুয়া আমজাদ পাড়ার বেলালসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, ২০ থেকে ২২ দিন পূর্বে ধীরগঞ্জ থেকে যাদুরাণী বাজারে একটি ১০ চাক্কার মালবাহী ট্রাক যাওয়ার সময় কালভার্টটি ফেটে দেবে যায়।

কালভার্টাট ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে এ সড়ক দিয়ে আর কোনো প্রকার যানবহান চলাচল করতে পারছে না। ২ কি.মি. পথ ঘুরে বিকল্প পথ দিয়ে যানবহান চলাচল করছে। এ সড়ক দিয়ে যাদুরাণী ও ধীরগঞ্জ হাট যাতায়াতের একমাত্র সহজ পাকা রাস্তা। এ সড়ক দিয়ে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করেন।

দূর্ঘটনার আশংকা নিয়ে প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রীদের এ ভাঙ্গা কালভার্ট দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বর্ষাকে অবহিত করা হয়। স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বর্ষা বলেন, খুব দ্রুত ভেঙ্গে যাওয়া কালভার্টাট সংস্কার করা হবে।

এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুস ছামাদ চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘২০০৩ সালে এডিবি’র অর্থায়নে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে কালভার্টাট নির্মাণ করা হয়। এর ধারণ ক্ষমতা সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৭ মে.টন। ধারণ ক্ষমতার বেশি ওজনের বা ২০-২৫ মে. টনের মালের গাড়ি কালভার্ট দিয়ে পারাপার হওয়ার সময় দেবে গিয়ে ভেঙ্গে যায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘কালভার্টটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বর্ষাকে প্রকল্প দিতে বলা হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই কালভার্টটি সংস্কার করা হবে।’

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮:৫০ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ

About The Author

প্রতিবেদক- কবিরুল ইসলাম কবির, ঠাকুরগাঁও করেসপন্ডেন্ট
Share