চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলায় এখলাছপুর চরাঞ্চলের আলী আহমদ মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ অর্ধ শতাধিক ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের মাঠ কালবৈশাখীর ছোবলে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
সোমবার (১৫ মে) সকালে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীর ঝড়ে অর্ধশত ঘরবাড়িসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। উত্তর সর্দারকান্দি, দক্ষিণ সর্দারকান্দি, শাখারীপাড়া, চরকাশিম, বোরোচর, বাহেরচর, চরওমেদ, চর জহিরাবাদ, চরকাশিম মুরাদ মিয়ার বাজার, এখলাছপুর আশ্রায়ন প্রকল্প, বেড়িবাঁধ এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব এলাকার অনেকের বসতঘর ভেঙ্গে গেছে, গোয়ালঘর, দোকানপাট, জমির কাঁচা-পাকা ইরি-বোরো ধান, আখ, মরিচ ও তিল ক্ষেতেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও বাজারের ছোট-বড় অর্ধ শতাধিক ঘরবাড়ি ল-ভ- হয়ে গেছে। গাছপালা ভেঙ্গে সড়কের অনেক স্থানে যান চলাচল ব্যহত হচ্ছে।
চরকাশিম বোরোচরের বারেক বকাউল, নূর বকাউল, জাহাঙ্গীর আলম, মাঈন উদ্দিন মোল্লা, মান্নান হাওলাদার, জসিম গাজী, ফখরুল বকাউল, ওহাব মিজি, অলু প্রধানিয়া, রিপন বেপারী, সর্দারকান্দি গ্রামের নজির প্রধান, রুবেল রানা, আক্তার হোসেন, মোসলেম বেপারী, আলমাস প্রধান, হাজেরা বেগম, নূর বানু, নূর ইসলাম, ফারুক বেপারী, আসরাফ আলী, আরজ আলী, আবুল কালাম বেপারী, আবুল ফকির, নূর জাহান, দেলোয়ার হোসেন, আলী হোসেনসহ আরো অনেকের বসতঘর ভেঙ্গে গেছে।
প্রতিবছর কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অবকাঠামোর কিছু না কিছু ক্ষতি হয়। এ বছর ঝডের অবস্থা দেখে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত অভিভাবক মহল।
চরাকাশিম গ্রামের কৃষক মো. নেয়ামত উল্লাহ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, সোমবার সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে স্কুল ভবন, দোকান পাট, বসতঘর, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ফরাজীকান্দি ইউপি সদস্য মাহবুব আলম মিস্টার সর্দারকান্দি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, এ গ্রামসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সহযোগিতা জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন জানান, ঝড়ে ইরি ধান, ভুট্টা, আখ ও তিল ক্ষেতের বেশি ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদক-কবির হোসেন মিজি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮ : ১৫ পিএম, ১৫ মে ২০১৭, সোমবার
এইউ