আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটির কার্যক্রম বাড়ানো উচিত

বাংলা ভাষার প্রচার-প্রসারসহ পৃথিবীর সব ভাষা সংরক্ষণ, গবেষণা ও বিকাশের লক্ষ্যে ১১ বছর আগে ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হলেও প্রতিষ্ঠানটির মূল কাজের অগ্রগতি হতাশাজনক।

জানা যায়,প্রতিষ্ঠাকালে এ ইনস্টিটিউটের জন্য ২৩টি কাজ নির্দিষ্ট করা হয়েছিল,যার মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি পুরোপুরি এবং কয়েকটি আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম প্রধান কাজ ছিল দেশে-বিদেশে বাংলা ভাষার প্রচার ও প্রসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ,পাশাপাশি বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিকীকরণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া।

১১ বছরে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের একমাত্র বড় কাজ নৃ-ভাষা বিষয়ে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা। বস্তুত কিছু সেমিনারের আয়োজন,স্মরণিকা ও নিউজলেটার প্রকাশ হয়েছে ।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। এটি আমাদের জন্য একটি বিশেষ মর্যাদার বিষয়।

ইউনেস্কোর এ ঘোষণার পর সরকার দেশে একটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা চর্চা ও গবেষণাকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্তটি যে সময়োচিত ছিল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এরই অংশ হিসাবে গড়ে তোলা হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম গতিশীল না হওয়ায় এটি এখনো গবেষক ও দশনার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেনি।

অথচ এ প্রতিষ্ঠানে কাজের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার বিবর্তন,বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ভাষা এবং তা বিলুপ্তির কারণ,বিপন্নপ্রায় ভাষাগুলো রক্ষা ও সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণায় এ ইনস্টিটিউট বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।

এমনকি ভাষা বিষয়ে শিক্ষার ক্ষেত্রেও রাখতে পারে ভূমিকা। আর এসবের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচিতি ও সুনাম বৃদ্ধিতেও অবদান রাখতে পারে। তাই এ প্রতিষ্ঠানের দিকে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।

বার্তা কক্ষ ,
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
এজি

Share